আরও পড়ুন: পৌরসভা নির্বাচনে ২৫ প্রার্থী মনোনীত করল আওয়ামী লীগ
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) বিদায়ী চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে তার আত্মীয় স্বজন ও তার পছন্দের মানুষকে অনৈতিকভাবে লটারি ছাড়া ময়ূরী আবাসিকে ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ময়ূরীতে প্লটের মূল্যের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে সুদ নিয়ে গ্রাহকদের ভীষণভাবে নাস্তানাবুদ করছেন। তিনি খুলনার উন্নয়ন ও মহাপরিকল্পনা এবং নগরায়নে মনযোগ না দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে কেডিএ পরিচালনা করে খুলনার মানুষের ক্ষতি করেছেন এবং সরকারের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষকে বিষিয়ে তুলেছেন। যা খুলনার গণমানুষের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
নেতারা কেডিএ’র উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কেউ যদি সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার এজেন্ডা নিয়ে খুলনায় এসে থাকেন তাহলে খুলনার এবং খুলনার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে এখনই পরিহার করুন।’
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘রূপসা বাইপাস সড়কে প্রধানমন্ত্রী তিনবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি, এর পরে নিরালা এবং গল্লামারী থেকে রায়ের মহল, ২০১৮ সালে আড়ংঘাটা থেকে রায়ের মহল ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি। এই সকল রাস্তার কাজ না করার জন্য আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে অনতিবিলম্বে খুলনার মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এই সকল প্রকল্পের কাজ শুরু করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চলছে ভোট গণনা, দুই সিটিতেই এগিয়ে আওয়ামী লীগ
তারা বলেন, ‘খুলনার মানুষের কাছ থেকে সুদ নিয়ে ব্যাংকে টাকা রেখে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। বিদায়ী চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম সরকার নাগরিক সেবার নামে খুলনার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যা এ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’ এই সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিহার করে খুলনার মানুষের আস্থা ফিরিয়ে এনে কেডিএ’র সম্পর্কে মানুষের যাতে ভালো ধারণার সৃষ্টি হয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য কেডিএ’র সকল স্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান তারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা
এর ব্যত্যয় হলে আওয়ামী লীগ খুলনার মানুষকে সাথে নিয়ে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার কথা বলেন নেতারা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী এ বিবৃতি দিয়েছেন।