এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবার জন্য যিনি গণতন্ত্রের পতাকা তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে তুলে ধরেছেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দূর করতে হবে, যারা কারাগারে আছেন তাদের বের করতে হবে।’
বিএনপি নেতা দেশকে বর্তমান সরকারের ‘গ্রাস’ থেকে মুক্ত করতে এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং দলের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার বিকেলে রামু ট্র্যাজেডি’র আট বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধদের শুভ মধুপূর্ণিমার আগে রাতে রামু-উখিয়া-পটিয়াবাসী বৌদ্ধদের ওপর এ জঘন্যতম ঘটনা সংঘটিত হয়।
রামুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রামুর ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তারই একটা প্রতিফলন। বাংলাদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, সংবিধান নেই। কোনো মানুষেরই এখানে অধিকার নেই। সেটা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হোক, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হোক, ইসলাম ধর্মাবলম্বী হোক, কারোই কোনো অধিকার এখানে নেই।’
রামুর ঘটনাসহ সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলার নানা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেখবেন যে, আওয়ামী লীগ যখনই এসেছে ক্ষমতায় তখনই এই প্রবণতা বেড়ে গেছে। দেখা যায় যে, হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কখনো নিরাপদ বোধ করেনি, তাদের সম্পদ দখল করে নেয়া হয়েছে।’