বুধবার দুপুর ১টার দিকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ব্যাপক ককটেল বিস্ফেরণের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের কর্মীরা কাজেম আলী স্কুলের পাশে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষের জের ধরে বহিরাগতসহ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সকাল থেকে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাস এবং মহসীন কলেজের আশপাশে অবস্থান নেয়।
দুপুর ১টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে গণি বেকারি থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা যায়। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পরে পুলিশ দুই গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে লাটিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা গণি বেকারি থেকে কাজেম আলী স্কুলের আশপাশে থাকা দোকানপাট ও খাবার হোটেলগুলোতে ইটপাটকেল মেরে ভাঙচুর করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এসময় ভোজন নামে একটি হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে নগরীর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকালের সংঘর্ষের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ গিয়ে দুই গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। কমিটিতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। মাহমুদুল প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং সবুজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী। কিন্তু এ কমিটিকে শিবির ছাত্রদল আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
জানা গেছে, প্রত্যাখ্যানকারী ছাত্রলীগ কর্মীরা নগর মেয়র আ জ ম নাছির গ্রুপের অনুসারী। এনিয়ে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলকায় গতকাল ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন সাংবাদিকসহ তিনজন আহত হন।