আওয়ামী লীগ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত ও বানচালের চেষ্টা করবে ভোটাররা তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, কোনো প্রকার নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া যাবে না। এমনকি বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিএনপির নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচন বর্জন করছে। ‘কেন আমরা তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করব? আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, যাদের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তারা আপিল না করলে আওয়ামী লীগ পক্ষপাতিত্ব করবে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই।
কাদের আরও বলেন, ‘আমরা যদি শুধু আমাদের মিত্র হওয়ার কারণে অযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেই, তা হবে গণতন্ত্রের প্রতি অবিচার।’
দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘সেদিন আমরা মানবাধিকার দিবস পালন করব এবং এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র্যালি আয়োজনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
এর আগে ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু) নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের