বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় রাজধানীর জুরাইনে তার মায়ের কবরে খোকাকে দাফন করা হয়।
দাফনের সময় খোকার আত্মীয়-স্বজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে আসর নামাজের পর খোকার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় গোপীবাগের ব্রাদার্স ক্লাব মাঠে তার আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাদার্স ক্লাবে জানাজা শেষে তার মরদেহ কিছু সময়ের জন্য গোপীবাগে খোকার বাসায় রাখা হয়। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে খোকার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরে। মরদেহ বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সাবেক মন্ত্রী খোকা নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
তার প্রথম জানাজা সোমবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।
বিমানবন্দর থেকে খোকার মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে বেলা সোয়া ১১টায় দ্বিতীয় জানাজার (দেশে প্রথম) আয়োজন করা হয়। জানাজায় বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
সংসদ প্রাঙ্গণ থেকে মুক্তিযোদ্ধা খোকার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ এ গেরিলাযোদ্ধার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। বিকাল ৩টায় নগর ভবনে তার চতুর্থ জানাজা হয়।
এর আগে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের শেষ মেয়র খোকার কফিন দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এনে অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়। তাকে একনজর দেখতে জড়ো হন হাজারো অশ্রুসিক্ত নেতা-কর্মী।
পরে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে খোকার তৃতীয় (দেশে দ্বিতীয়) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখকে সাথে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে খোকার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তা দলীয় পতাকায় মুড়ে দেন।
বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।