তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়া দেয়ার জন্য সারা দেশ থেকে বিএনপি দাগি আসামি, অস্ত্রধারীদের নিয়ে আসছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে দেখতে হবে। এমনও খবর আছে যে, পাহারার নামে এসব স্বশস্ত্র বাহিনী ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দিবে।’
বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করেপোরেশন নির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তারা (বিএনপি) যাতে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সতর্ক থাকতে হবে। বহিরাগতদের বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। আমরা চাই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। সরকার এ বিষয়ে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করছে বিএনপির এমন দাবি বিষয়টি উড়িয়ে দেন কাদের।
নির্বাচনে বিভিন্ন দেশের ৬৭ জন এবং স্থানীয় এক হাজারের মতো পর্যবেক্ষক থাকবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার জানা মতে, সরকারি দল থেকে কোন পর্যবেক্ষকই দেয়া হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে পদ্মা সেতুর কাজে কোন সমস্যা হবে না। পদ্মা সেতুর কাজে এক হাজার চীনা কর্মী কাজ করে। তার মধ্যে ১৫০ জন ছুটিতে আছেন। গত ১৮ জানুয়ারি চীন থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমরা তাদেরকে আগামী ১৪ দিন কাজ করা থেকে বিরত রাখছি।’