দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলীয় ক্যাডাররা ঢাকা-১৮ আসনের ২০৩ ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সাধারণ ভোটারদের হুমকি এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাধা দেয়াসহ বিএনপির এজেন্টদের মারধরও করা হয়েছে।
‘সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতেও একই অবস্থা ছিল,’ বলেন প্রিন্স।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের সমর্থকরা ভোট জালিয়াতির সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আরও অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের তারা সহায়তা করেছেন।’
প্রিন্স অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ক্যাডার ভাড়া করে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করতে এবং সাধারণ ভোটারদের বাধা দেয়ার জন্য তাদের ব্যবহার করা হয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে অনেক মানুষকে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।’
বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন উভয়কেই ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া এবং দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করার জন্য জনগণের কাছে এক দিন জবাবদিহি করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসন উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বিকাল ৫টায়।