বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সাথে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দেয়া তিন বছরের সাজা থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট তার জরিমানা কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছে। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম বলেছেন, ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য (এমপি) তার এমপি পদ হারান। জাতীয় সংসদের স্পিকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
‘আমরা রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব,’ তিনি বলেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সেলিমের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের উপর পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস। গত ৩১ জানুয়ারি এই পুন:শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করে।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
গত বছর নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর তার অনিয়ম আবারও সামনে চলে আসে।