নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
রবিবার (৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর এ ইঙ্গিত দেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি… কারণ আপনারা জানেন যে ৩০০টি আসনে প্রায় ৪ লাখ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকতে পারে। এত গুলো কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করব। আমি বলতে চাইছি, আমরা ওই কেন্দ্রগুলোতে আরও আইন প্রয়োগকারী সদস্য নিয়োগ করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে এমনিতেই ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘তারা (দলগুলো) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন। কারণ, তারা জানে নির্বাচনে পরিস্থিতির অবনতি হলে বা পরিস্থিতি খারাপ হলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে না।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তার নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই কমিশন ক্যামেরা ব্যবহার করতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি