সিসিটিভি ক্যামেরা
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি হলো বাসস্থান। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি। মূলত একটি বাড়ি কেবল একটি অবকাঠামোই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জীবনের নিরাপত্তা। তাই এই পরম আশ্রয় যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন তা জীবনের অস্তিত্বের জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে, ডাকাতির মতো অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে সম্পদের ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রাণনাশেরও আশঙ্কা থাকে। তাই, এর জন্য প্রয়োজন অগ্রিম সতর্কতা। এই নিবন্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে, যা বাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন, কৌশলগুলোর ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি এড়াতে ১১টি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা
বাসস্থানে চুরি বা ডাকাতির আশংকা কমাতে বাড়ির সদস্যদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাসায় ডাকাতের আক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া
বাসা-বাড়ির দরজায় করাঘাত বা কলিং বেলের আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ সদর দরজা না খুলে দরজার পীপ হোল দিয়ে আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অপরিচিত কেউ দরজার ওপাশে থাকলে পরিচয় ও আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। সন্দেহ জনক এক বা একাধিক ব্যক্তি যদি বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা রক্ষী বা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা বা আর্মি ক্যাম্পে ফোন দিতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। মূল প্রবেশদ্বার ও গ্যারেজে ক্রমাগত নজরদারির জন্য এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা যেতে পারে। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হয়ে থাকে, ফলে দুষ্কৃতিকারীরা এই ব্যবস্থা যুক্ত স্থাপনাগুলো থেকে দূরে থাকে।
আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, নাইট ভিশন ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করার সুবিধা থাকে। এর ফলে, এগুলোর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে তাৎক্ষণিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত বা সন্দেহভাজন আনাগোনা তদারক করা সম্ভব হয়। এমনকি, বাড়িতে না থাকলেও দূরবর্তী স্থান থেকে এই নজরদারি অব্যাহত রাখা যায়।
মোশন সেন্সর লাইট এবং সাইরেন অ্যালার্ম স্থাপন
ঘরবাড়ির আঙিনায় এমন কিছু স্থান থাকে যেগুলো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। মোশন সেন্সর লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্থানগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এই উন্নত প্রযুক্তি যেকোনো নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং নির্দিষ্ট স্থানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোকিত হয়ে ওঠে। এটি মূলত চোর বা গুপ্ত হামলাকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
এটির সঙ্গে যখন সাইরেন অ্যালার্ম যুক্ত করা হয়, তখন দুটো মিলিয়ে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়। একসঙ্গে কয়েক জোড়া কদমের অনুপ্রবেশ বা দরজায় কষাঘাতের জন্য প্রধান ফটক বা দরজা এই ডিভাইস সংযুক্ত করার উপযুক্ত স্থান হতে পারে। এতে করে অ্যালার্মের শব্দে শুধু বাড়ির ভেতরে থাকা লোকেরাই নয়; আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সজাগ হয়ে যাবে। ফলে সংকটাপন্ন পরিবারকে বাঁচাতে তারাও এগিয়ে আসতে পারবে অথবা পুলিশকে জানাতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর আগে সব দরজা-জানালা বন্ধ করা
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার এবং জানালাগুলো যদি অসাবধানে খোলা রাখা হয়, তবে বাড়িতে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতাই থাকে না। চুরি বা ডাকাতি সাধারণত রাতের অন্ধকারে ঘটে এবং এই ধরনের ভুলের কারণে তখন চরম মূল্য দিতে হয়। অনেকেই বাতাস চলাচলের জন্য রাতভর জানালা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এটি বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের নিচের ২-৩ তলার বাসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর।
অনেক বাসায় বারান্দা বা জানালায় টেকসই গ্রিল থাকে না। তাই, অন্তত প্রধান ফটকে উচ্চমানের ডেডবোল্ট লক অথবা কমপক্ষে দুটি স্তরের তালা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এছাড়া, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে প্রত্যেকটি লক ভালোভাবে চেক করে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
প্রতিটি ব্লক বা মহল্লায় টহলরক্ষীসহ গেট নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ
জানমালের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয় আমলে নিয়ে শুধু রাতের জন্যই নয়, ২৪ ঘন্টার জন্য অতন্দ্র প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে তো থাকবেই, সেই সঙ্গে ব্লক বা মহল্লার প্রধান গেটেও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দিতে হবে। টহলের সময় গেটগুলোতে যেন শূন্যস্থান সৃষ্টি না হয় সেজন্য রক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলাকায় প্রবেশাধিকার নিরীক্ষণের একটি ব্যবস্থা তৈরি হবে। সাধারণত কেবল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সেই এই ব্যবস্থা বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু নির্জন রাস্তার বাড়িগুলোর ক্ষেত্রেও গার্ড মোতায়েনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নিকটস্থ থানা ও আর্মি ক্যাম্পের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহে রাখা
পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগের তথ্যগুলো সংগ্রহে রাখা। এতে দুর্ঘটনা সৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জানানো যায়। নিরাপত্তা হটলাইনের পাশাপাশি নিকটস্থ থানা এবং আর্মি ক্যাম্পের মোবাইল নম্বরও সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
খুব বেশি বিপজ্জনক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে তারা কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য চাইতে পারে।
আরো পড়ুন:
অ্যাপার্টমেন্টে নতুন আগত ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া
শুধু অ্যাপার্টমেন্টের মালিক বা বাড়িওয়ালাদের জন্যই নয়, নতুন আসা ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া পুরাতন ভাড়াটিয়াদেরও দায়িত্ব। কোনো ফ্ল্যাটে নতুন কাউকে সাবলেট দেওয়া হচ্ছে কি না এবং নবাগতদের পেশা নিয়ে সুক্ষ্মভাবে যাচাই করা উচিত।
বাড়ির মালিকরা নতুন ভাড়া নেওয়াদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পেশাগত পরিচয়পত্রাদি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। অপরদিকে, অন্যান্য ফ্ল্যাটবাসীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশের ফ্ল্যাটের ব্যাপারে খোঁজ রাখবেন। এভাবে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা ভবনেই একটি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা যাবে।
বাড়ির আঙিনা অন্ধকারাচ্ছন্ন না রাখা
দুষ্কৃতিকারীদের ডাকাতি করার ক্ষেত্রে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং জংলা, ঝোপ-ঝাড়ে আবৃত বাসাগুলো সবচেয়ে বেশি সহায়ক হয়। দুই বাড়ির মাঝের সংকীর্ণ স্থান এবং বাড়ির পেছন ভাগে এমন কিছু অল্প জায়গা থাকে যেগুলোতে দিনের বেলায়ও আলো-আঁধারীর অবস্থা বিরাজ করে। যেসব বাড়িতে বাগান রয়েছে, সেখানে বাগানের সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গাছপালা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। ফলে মধ্য দুপুরেও বাগান ও বাড়ির আঙিনায় সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না। তাই নিয়মিতভাবে ঝোপ, গাছ ও ঘাস ছাঁটাই করা জরুরি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত লাইট বা মোশন সেন্সর লাইট দেওয়া যায়। দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির কাছাকাছি কোনো ল্যাম্প পোস্টের লাইট অকেজো হয়ে গেলে দ্রুত তা বদলে দিতে হবে।
বাড়ির সীমানা ঘিরে দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন
অনুপ্রবেশে প্রাথমিকভাবে যতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় ততই ভালো। বেশ পুরোনো উপায় হলেও বাড়ির সীমানা জুড়ে কাটাতারের বেড়া স্থাপন বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোতেও এসেছে যথেষ্ট পরিবর্তন। তাই বেড়া নির্বাচনে সূক্ষ্ম স্পাইক বা কোণযুক্ত ধারের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
প্রতিবেশীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
যেকোনো প্রতিরোধে সম্মিলিত থাকার কোনো বিকল্প নেই। একের বিপদে অপরজন এগিয়ে আসার মতো তাৎক্ষণিক উদ্যোগ আর কিছুই হতে পারে না। পাশাপাশি দুইটি বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়া তাদের নিজ নিজ বাড়ির আশেপাশে সন্দেহজনক আনাগোনার দিকে খেয়াল রাখা মানে পরস্পরের দিকেই খেয়াল রাখা। নবাগত ভাড়াটিয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে শেয়ার করা হলে পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতে পারে।
এভাবে আগে থেকেই অস্বাভাবিক কার্যকলাপগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ারের মাধ্যমে সতর্ক থাকা যায়। তাছাড়া ভয়াবহ সংকটপ্রবণ মূহুর্তগুলোতে কেবল পুলিশের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রহরার ব্যবস্থা করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
দীর্ঘ ছুটি কাটানো নিয়ে বাড়ির বাইরে কথা না বলা
বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় অনেকেই নিজের আসন্ন দীর্ঘ ভ্রমণের কথা বলে ফেলেন। এতে করে তিনি যে একটা উল্লেখযোগ্য সময় যাবত বাড়িতে অনুপস্থিত থাকবেন তা বৃহৎ পরিসরে জানাজানি হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাকাত বা তাদের সহযোগীরা এলাকার ভেতরেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয় নির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে ডাকাতির জন্য। এ সময় তারা সাধারণ মানুষের বেফাঁস কথাগুলোর সুযোগ নেয়।
তাই দীর্ঘ ভ্রমণ বা ৬-৭ ঘণ্টার জন্য বাসায় একজনকে রেখে যাওয়ার বিষয়গুলো গোপন রাখা অপরিহার্য। মহল্লার কোনো খাবার হোটেল, টঙের দোকান, পার্ক বা গোলির মোড়ে আড্ডায় এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই প্রকাশ করা ঠিক নয়।
পরিশিষ্ট
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধের এই উপায়গুলো আবাসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নামান্তর। এর জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ভূমিকার সমন্বয় ঘটানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোশন-সেন্সর লাইট ও অ্যালার্ম স্থাপনের সুদূরপ্রসারি তাৎপর্য রয়েছে। রাতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, সীমানায় কাটাতারের বেড়া স্থাপন, মহল্লায় প্রহরা বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহে রাখা সাধারণ সতর্কতা। তবে নতুন ভাড়াটিয়াদের যাচাই করা, দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যাপারে ঘরের বাইরে আলাপ না করা, এবং প্রতিবেশীরা সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া সক্রিয়তার পরিচয় দেয়।
সর্বসাকূল্যে, প্রত্যেকটি কৌশলকে একীভূত করার মাধ্যমে বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়া উভয় শ্রেণি সমানভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
রবিবার (৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর এ ইঙ্গিত দেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি… কারণ আপনারা জানেন যে ৩০০টি আসনে প্রায় ৪ লাখ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকতে পারে। এত গুলো কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করব। আমি বলতে চাইছি, আমরা ওই কেন্দ্রগুলোতে আরও আইন প্রয়োগকারী সদস্য নিয়োগ করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে এমনিতেই ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘তারা (দলগুলো) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন। কারণ, তারা জানে নির্বাচনে পরিস্থিতির অবনতি হলে বা পরিস্থিতি খারাপ হলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে না।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তার নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই কমিশন ক্যামেরা ব্যবহার করতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (৩০ জুলাই)।
সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
১ বছর আগে
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন ঢাকার কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র বলছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা-১৭ আসনে ৮৫৩টিসহ ১ হাজার ৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি মহাপরিচালক এ.কে.এম হুমায়ুন কবীর এবং আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দু’টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
১ বছর আগে
রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশন (ইসি) মিলনায়তন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে ইসি।
দুই সিটিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা সকাল ৬টা থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষে ৩৬৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
৩৪৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রতি ১০ সেকেন্ড পর পর অটোরোটেশনসহ ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন এবং রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রায় ২ হাজার ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হবে, যাতে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত ৫ হাজার ৪৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
এ বছর ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ইভিএমসহ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নির্বাচনী উপকরণ পাঠানোর কাজ ১১ জুন থেকে শুরু হবে এবং ১২ জুন মধ্যরাতে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
১ বছর আগে
রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ২৯ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আগামী ৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা
রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেন।
রংপুরের মেয়র, ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৯৩টি কেন্দ্রে মোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার তাদের ভোট দেবেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২১ ডিসেম্বর ২০১৭।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর
আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
২ বছর আগে
নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো চাপে নেই এবং কমিশন এর কাজ করছে।
রবিবার জেলা পরিষদ নির্বাচন মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে বুধবার গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে ইসি।
সিইসি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের চর্চা সাম্প্রতিক। আমরা এখান থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারি। যা একটি ভালো চর্চা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো দলের না। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাদের ভোট দিতে পারে। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করছি।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচন স্থগিত করা কমিশনের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি
জাতীয় নির্বাচনের সময় এতগুলো কেন্দ্র সিসিটিভির মাধ্যমে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইসি এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সময় ৪০ হাজার বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে চার লাখ বুথ থাকবে। পাঁচ নির্বাচন কমিশনার একা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন না, পর্যবেক্ষণের জন্য আরও জনবল নিয়োজিত থাকবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের মতো আগামীকালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে ৪৬২টি কেন্দ্রের ৯২৫টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং ৬০ হাজার ৮৬৬ জন ভোটার ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি
২ বছর আগে
বগুড়ায় সব মন্দির ও পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত
বগুড়ার সব মন্দির ও পূজামণ্ডপে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা সদরের সাবগ্রামের একটি মন্দিরের লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীসহ সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র, বিজিবি প্রতিনিধি, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গ্রেপ্তার ৪, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ নিহত ৩
বগুড়ায় বাউল শিল্পীকে মাথা ন্যাড়া, স্কুল শিক্ষকসহ আটক ৩
৩ বছর আগে
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১১ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে ইসলামী আন্দোলনের নেতাসহ আরও ১১ হেফাজত কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন জানান, শুক্রবার ও শনিবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৭ মার্চ জেলা সদরে রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জালিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামি আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
পুলিশ ঘটনার সময় ধারণ করা স্থির চিত্র এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদেরকে সনাক্ত করছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
পুলিশ সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সর্বমোট ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি ও সরাইল থানায় ২ টি সহ সর্বমোট ৫৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়। এসকল মামলায় এ পর্যন্ত ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩ বছর আগে