জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হায়দারী গার্মেন্টসের ভেতরে ১ হাজার ২০০ বস্তা চাল মজুদ দেখতে পায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ভূঁইয়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ চাল জাবেদ ভূঁইয়ার। চট্টগ্রাম থেকে রাসেল নামে তার এক বন্ধু এগুলো পাঠিয়েছেন।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার চালগুলো জব্দ করে গার্মেন্টসের কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা জাবেদ ভূঁইয়া জানান, এক ব্যবসায়ী বন্ধুর মাধ্যমে চালগুলো গরিবদের মাঝে বিতরণের জন্য আনা হয়েছে।
তবে, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম বলেন, ‘জাবেদ ভূঁইয়া বিপুল পরিমাণ চাল ত্রাণের জন্য এনেছে কি না আমি জানি না ‘ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার বলেন, ‘জাবেদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন যে এ চাল ত্রাণের জন্য আনা হয়েছে। বর্তমানে গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। জাবেদ বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গরিবদের জন্য চালগুলো আনা হয়ে থাকলে তা প্রমাণিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।’