যুবলীগ নেতা
নরসিংদীতে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নরসিংদী পৌর ঈদগাহ মাঠে সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত রানা মিয়া (৩৫) নরসিংদী পৌরসভার কাউরিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরসিংদী পৌর ঈদগাহ মাঠে দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালায়।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহে বিয়েবহির্ভুত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীর প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত, যুবলীগ নেতা আহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠবোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৮) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিহত এবং এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ড বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হেলাল উদ্দিন বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই এলাকার করিম উল্লাহর ছেলে।
অন্যদিকে আহত মো. নুরুন্নবী (৪০) রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া নাপিত পুকুরিয়া ব্রিজঘাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, পদুয়ার বটতল এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে কাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ির (জিপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেল থাকা দুইজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইউপি সদস্য হেলালকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নুরুন্নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কাছে হেলালের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। জিপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১১
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অপরাধী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদের শত্রুতা ছিল।
‘জিসান বাহিনী’ মামুনকে তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসানের মৃত্যু হয়। জিসানের মৃত্যুর পর জিসানের ছোট ভাই তুহিন ‘জিসান বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন।
জিসান বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন।
শত্রুতার জেরে ২০১৮ সালের ১৮ কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথিপত্র ও সাক্ষী যাচাই-বাছাই করে আদালত দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
নাটোরে যুবলীগ নেতা মিঠুনের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, যুগ্ম সম্পাদক মোর্ত্তজা বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দলের ৩০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ইতোমধ্যেই এ মামলায় রুমন, নাছির, ওবায়দুল ও মহসিন নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত যুবলীগ নেতা মিঠুনের ভাই স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিএনপির ৩৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৫
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে রবিবার রাতে নাটোর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতিপক্ষ।
তিনি আরও জানান, হামলায় আহত হয় আরও ৫ জন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩৩.৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবার নাম পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, শাজাহানপুরে যুবলীগ নেতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা মেরে পালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, দুইটি ঘটনাই শাহজানপুরের। আসামিদের গ্রেপ্তারের পরই আমরা দুটি ঘটনা খতিয়ে দেখব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো অপরাধী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা পরে জানা যাবে।
শুক্রবার ভোরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিম সরবরাহের ব্যবসা ছিল তার। রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি কোনো সরকারি পদ ছাড়াই স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে: ডিবি প্রধান
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগে গাড়ীচালকসহ আটক ৩
কুমিল্লার গৌরীপুরে যুবলীগনেতা জামাল হোসেনকে হত্যার অভিযোগে ৩ আসামিকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
আটক আসামিরা হলেন- জেলার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকার মো. রবি, একই এলাকার মো. শাহপরান এবং লালপুর এলাকার সুমন হোসেন।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএমবার।
তিনি বলেন, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
এই ঘটনার পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ দাউদকান্দি থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে আসামিদের ঘটনাস্থলে যাবার আগে ও পালিয়ে যাবার সময় ব্যবহৃত একটি কালো হাইস গাড়ির চালক আসামি মো. সুমন হোসেনকে (নারায়নগঞ্জ) মদনপুর হতে আটক হয়।
আসামি ড্রাইভার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনায় ব্যবহৃত আসামির চালিত কালো হাইস গাড়িটি গৌরিপুর হাট চান্দিনাস্থ তার ভাড়া বাসার পাশে খালি জায়গা থেকে জব্দ করা হয়।
এছাড়াও আসামি ড্রাইভার সুমনের বাসায় তল্লাশি করে এবং তার দেখানো মতে ঘটনার সময় বোরকা পরিহিত আসামিদের ব্যবহৃত দুই জোড়া ক্যানভাস সু এবং ঘটনার সময় সুমনের পরিহিত একটি ট্রাউজার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহনকারী আসামিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার কারণে মো. শাহপরান ও মো. রবি নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
কুমিল্লার গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি দল তাদেরকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় হত্যাকারীদের ব্যবহৃত বোরকা ও কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, মো. ইসমাইল ও শাহ আলম।
আরও পড়ুন: আহসানউল্লাহ হত্যা মামলার রায় কার্যকর করুন: বক্তারা
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ সাত-আটজন অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার অপর ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজন নেপাল, সৌদি, আরব, ভারত ও বাংলাদেশে পলাতক রয়েছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় র্যাব-১১ এর এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিদের কাছে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলারগৌরীপুর পশ্চিম বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া জামাল হোসেন পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ওই উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল গৌরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী। রবিবার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে গুলির শব্দ হয়। এরপর সেখানে জামালকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এসময় তিনজনকে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে দেখেন। সিএনজি স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে জামালের বিরোধ ছিলো।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহীদ আল-হাসান বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জামাল নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর আত্মীয়-স্বজনরা লাশ নিয়ে ঢাকায় যান।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটি শুনেছি। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
গোরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নোমান মিয়া সরকার বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। পশ্চিম বাজারে জামালকে গুলিতে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। গ্রুপিংয়ের কারণে এটি হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগ নেতা জামালের কপালে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে মৃত ঘোষণা করলেও স্বজনরা জামালকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ।
অভিযুক্ত নির্মলেন্দু দে সুমন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৯নং ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দে’র ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। এরই মধ্যে বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নং কক্ষে প্রবেশ করে নির্মলেন্দু দে সুমন গোপনকক্ষ থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যায় চলে যায়। গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা কর্ণপাত করেনি ওই যুবলীগ নেতা। পরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি উদ্ধার করে কেন্দ্রে ফেরত দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ইউপি নির্বাচন: এমপি বেলালের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
জেকেজি চেয়ারপার্সন সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
পুলিশের সামনে থেকে যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লার তিতাসে মাছের প্রজেক্টের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে পুলিশের সামনে থেকে তুলে নিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে কুপিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
নিহত জহিরুল ইসলাম (৩৫) ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে। তিনি ঢাকার ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শনির আখড়ায় বসবাস করতেন।
তিনি ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, একটি মাছের প্রজেক্ট নিয়ে বিরোধ থেকে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সেখানে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহরাবসহ অন্যান্যরা মাছ ধরতে যান। এই নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ গিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঢিলের আঘাতে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান আহত হন।
তখন আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহির পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে এলে পুলিশের সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহরাবসহ অন্যান্যরা। তাদের বাড়িতে জহিরকে ঢুকিয়ে গেট লাগিয়ে কুপিয়ে তার হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে জহিরের মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে তার স্বজনরা।
নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের ক্রয় করা জায়গায় জোর করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে জহির বাধা দেয়। এতে সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রাম দা'সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে। এ সময় আরও ছয় থেকে সাতজন আহত হয়েছে।
আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার বিচার চাই।
এদিকে সাইফুল ইসলাম মেম্বার ওই পুকুর নিজের বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমার পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিতে আসলে লোকজন বাধা দেয়। তারা বাধা আমান্য করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, মাছের প্রজেক্ট নিয়ে পূর্ব বিরোধ থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
একপক্ষ মাছ ধরতে গেলে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে তাস নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১ জনকে কুপিয়ে হত্যা