আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে জনগণের আস্থা ও সমর্থন আদায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, প্রতারণার মাধ্যমে ভোটে জয়ের দিন শেষ। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া, ডামি প্রার্থী দিয়ে কিংবা রাতে ভোট দিয়ে নির্বাচনে জেতার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বছরের পর বছর লড়াই করে জীবন দিয়ে এটি পরিবর্তন করেছি।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহে দলীয় নেতাকর্মীদের একটি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটি তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে দলের ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাবের ওপর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা ভয়ভীতি বা বাধা ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ‘জনগণকে বোঝানো এবং তাদের মন জয় করে সেই নির্বাচনে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বা অবাস্তব বার্তা দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিতে চায় না। ‘এজন্য আমরা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে কিছু রূপরেখা তৈরি করেছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যাতে জনগণ বুঝতে পারে যে, আমরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নজরুল ইসলাম বলেন, দল ক্ষমতায় গেলে আমরা কী করতে চাই সে সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতেই ৩১ দফা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমানের ২৭ দফা প্রস্তাবের আলোকে বামপন্থী, ডানপন্থী ও গণতান্ত্রিক দলগুলো- যারা যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংস্কার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ব্যাখ্যা করেন যে, তারা প্রথমে তাদের নেতাকর্মীদের কাছে ৩১ দফা রূপরেখা উপস্থাপন করছেন, যাতে তারা এর মূল বার্তাগুলো পুরোপুরি বুঝতে পারেন এবং সঠিকভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা যদি ভুল বার্তা দেয় এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাহলে আমরা জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হব।’