রবিবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক নিলুফার ইয়াসমিন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিনের আদেশ দেন। আদালতে মামলাটির শুনানির সময় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের একাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
এর আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আগমন উপলক্ষে সকাল থেকে আদালত চত্বরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। এ কারণে পুলিশের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মামলার ১নং আসামি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর ও মানহানি বক্তব্য দিলে ৩নং আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তা করতালির মাধ্যমে সমর্থন করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামরুজ্জামান কামাল বাদী হয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা করেন।
বিচারক মামলাটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানাকে আদেশ দেন। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এজাহার হিসেবে মামলা গ্রহণ করে এসআই হরিদাস রায়কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর এসআই হরিদাস রায় ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল দণ্ডবিধি ১২৩ (ক) ১২ (ক) ৫০০. ৫০১ ও ৫০৫ ধারায় মামলার চার্জশিট প্রদান করেন। মামলা আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করার আদেশ দেয়। এরপর রবিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার ইয়াসমিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ১০ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে জামিন প্রদান করেন।