তারা স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের আগাম জামিন দেয়া হয়েছে। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
জামিন পাওয়া অন্য নেতারা হলেন-স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনের কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদলের কর্মীরা ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন এবং তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। এসময় সমাবেশ করার অনুমতি নেই বলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
তর্কের এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ছাত্রদলের কর্মীরাও পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ফলে অনির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন।
ওইদিন রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা শহরের যেকোনো স্থানে এ জাতীয় কর্মসূচি পালন করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু ছাত্রদল ডিএমপি থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
প্রেসক্লাবকে সংঘর্ষের ঢাল বানানো অপরাধের শামিল: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে ছাত্রদলের কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু