ছাত্রদল
ববিতে ছাত্রলীগের নেত্রীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক টিকলি শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দাবি, টিকলি শরিফ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে ক্যাম্পাসে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন সদস্য তাকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী—মামুন ও তরিকুলকেও আটক করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিকলি বলেন, ‘আমার কালকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে আমার জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়, আমরা চা খেতে গেলে সেখান থেকে আমাদের আটক করা হয়।’
নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে যে কেউ ভালোবাসা থেকে সংগঠনের কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা মহানগর ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী ক্যাম্পাসে এসে গোপন কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে খবর পাই। আমার জুনিয়ররা তাকে দেখতে পেয়ে জানালে তাকে আটক করে প্রক্টর ম্যামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি আমরা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করি। পুলিশ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’
১ দিন আগে
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে বিশ্ব মোড়লদের এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।
এ সময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ফিলিস্তিনে যা হয়েছে, তা অতীতের যেকোনো ভয়াবহতাকে হার মানায়। গণতন্ত্রের দোহায় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে হামলাকে হালাল বানিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই দ্রুত ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধান করুন।‘
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি: জাবি প্রশাসনের সংহতি
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যে বর্বর গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও এমন গণহত্যার কোনো নজির নাই। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল যদি এখনই কার্যকর ভূমিকা পালন না করে তাহলে ফিলিস্তিন মুছে যাবে।’
জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের উপর ইসরায়েল নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এই মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বশক্তিগুলোকে হামলা বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। ফিলিস্তিনে মানবতার চরম বিপর্যয় বন্ধ করতে হবে।’
৮ দিন আগে
নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন করবে ছাত্রদল
ধর্ষণ, অনলাইনে হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন করবে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি এই ধরনের অপরাধের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপক ঘাটতির প্রতিবাদ জানানো।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সেই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় মাছ চুরি: ছাত্রদলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
এতে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও অনলাইনে হয়রানির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কর্মসূচি সফল করার জন্য দলের সকল সদস্য, নেতা-কর্মীকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
৩৮ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, মমেকে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান খান জানান, এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দল শিক্ষার্থীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন বলেন, শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির বাধা দিয়ে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
অভিযোগ অস্বীকার করে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ জানান, এ ঘটনায় শিবিরের কোনো কর্মী জড়িত নন। এখানে ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
৭৩ দিন আগে
মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘিওরের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘিওরের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া নিহত হয়েছেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল আলম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনা অনুসন্ধান করে পুলিশের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
১২৮ দিন আগে
রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নয়াপল্টন থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মিছিলটি রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তিন সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানায় পুলিশ।
পরে আন্দোলনকারীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাছির।
এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও গণমাধ্যম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে অভিযোগে করে তার নিন্দা জানান তারা।
রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বর্তমানে যা করছে তা সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করেন না। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
রিজভী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আকাশ থেকে সমুদ্র থেকে স্থল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। আমাদের স্মার্ট সামরিক বাহিনীতে যোগ্য সদস্য রয়েছে।’
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা গেছে। তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
বাংলাদেশবিরোধী ঘটনা এবং ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে শনিবার বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: ভারত কুটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে: দুলু
১২৯ দিন আগে
গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীসহ ১৩ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে।
গোবিন্দগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে চারমাথা মোড়ে অবস্থিত ফুল মিয়ার দোকানে সিগারেট চাওয়া নিয়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্র মামা দল নেতা মারুফ হাসান শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে পৌর জাসাসের আহ্বায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া, পৌর যুব জামায়াতে বাইতুলমাল (অর্থ) সম্পাদক ফুল মিয়া, পৌর ছাত্রদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশিক সরকারের নাম জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পৌর শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাসাসের নেতাকর্মীরা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুল মিয়ার দোকানে ব্ল্যাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায় মারুফ ফোনে বন্ধুদের ডেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ফুল মিয়াকে মারতে যান।
এসময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়। মারুফের ছুরিকাঘাতে ১৩ জন আহত হন।
পরে মারুফ ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মারুফকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতদের হাত, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত হওয়ায় ৮ থেকে ১০টি করে সেলাই দেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মারুফকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
১৫২ দিন আগে
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হাসপাতালেও হামলা
নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রথম দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে আহত ব্যক্তিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আরেক দফা হামলার শিকার হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার জাহিদ হোসেন (২৮), তার কর্মী মিনহাজুর রহমান (২৩), ইয়াসিন আহমেদ (২৯), সানভির আলম নিবির (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৭), জাহিদ বিন রাফি (২২), দুলাল (২৫), রিপন (২২), তৌফিক (২৭), অয়ন (২৯), শিমুল (২০), শিপন (২৫), জীবন (২০) এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
জানা যায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেনের জাপ্পি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ভাষ্য, খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে সভায় সামনের দিকের কিছু চেয়ারে জাহিদের কর্মীরা বসতে গেলে তাদের বাধা দেন ছিদ্দিকুর। এ নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মীরা। সেখানে অন্তত তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ওই ঘটনায় ১৪ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তত ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন নাহিদ ও তার কর্মীরা। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম।’
হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কার্যালয়ে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি। তারা আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
১৮০ দিন আগে
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাহিয়ান-লেখকসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
দুই বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ ৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এ মামলা করেন।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহাবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সঞ্জিত চন্দ্র দাস, রিয়াজুল ইসলাম, মোনেম শাহরিয়ার হাসান মুন, সামিউজ্জামান সামি, আসিফ হোসেন, রেহানুল লাভলী, সাব্বির হোসেন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, অহিদুল ইসলাম আকাশ, বাধন মিয়া, আজিজুল হক, ওবায়দুল হোসেন ও সোলায়মান হাবিব।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্রদলের নবগঠিত সোহেল-আরিফ কমিটি ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন। এদিন বিকাল ৪টার দিকে স্যার এ. এফ রহমান হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
২০২ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ (মঙ্গলবার) থেকে কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সর্বদা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে।’
একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ’ সরকারকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাভিত্তিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদল সভাপতি।
পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ছাত্রদল তাদের পাশে আছে।’
তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আন্দোলনে ছাত্রদল সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ও সম্পৃক্ততা নেই, যাতে কেউ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
রাকিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ছাত্রদল কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না। আমরা চাই এই যৌক্তিক আন্দোলন একটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনুক। আমরাও চাই এই বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হোক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদেরও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, ফৌজদারি অপরাধও বটে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
২৭৪ দিন আগে