বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন যে আজ (শুক্রবার) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন অর রশিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচণা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি ও জীবনমাল ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় অন্য কোনো নেতা নজরদারিতে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সবকিছুর ওপর নজর রাখছি।’
বিএনপির সমাবেশস্থল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এখন গোলাপবাগ মাঠের জন্য প্রস্তাব করছে, কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।