দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১২ মে (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ফলে পদপ্রত্যাশী নেতারা ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে।
সূত্র বলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম।
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোড়ণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে তাদের নাম।
এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, আরেক সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলী গের সভাপতি এমএ এমন মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু।
এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের নামেও বিলবোর্ড ও ফেস্টুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর এক বছরপর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন