তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেও যাদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি আজ তারাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। তারা ও তাদের অনুসারীরাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মুজিব শতবর্ষ ও নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতা বিরোধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের এ ধরনের ঘৃণ্য কার্যকলাপ বাংলাদেশের মানচিত্রের প্রতি অবমাননা, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর চরম আঘাত।
তিনি বলেন, ‘জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু আরও বেশি শক্তিশালী। তার রেখে যাওয়া আদর্শ ও দিকনির্দেশনার উপর ভর করেই তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের মাঝে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে পেরেছেন।’
সভায় মন্ত্রী বলেন, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন পাস হয় এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্ত্রী জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারাদেশে জনসচেতনামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনের উপর জোর দেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুল নাসের খানসহ কর্তৃপক্ষের অন্যান্য সদস্যরা ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।