খাদ্যমন্ত্রী
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব। বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ আর উৎপাদন বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।’
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেইসঙ্গে বইকে আপন করে নিতে হবে।’
এসময় খাদ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে মানব সেবায় আত্ননিয়োগের আহ্বান জানান।
শনিবার (৬ জুলাই) নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাদক ও মোবাইলের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকতে কঠোর সংকল্প নিতে হবে। এছাড়া একাডেমিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সন্তানরা যেন অসৎ সঙ্গে না জড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। সন্তানদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ভালো দিক গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জন শেখাতে হবে। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার শিক্ষার্থীদের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি করে এটা বোঝাতে হবে।’
এসময় শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ ও পারদর্শিতাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পরে খাদ্যমন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৬০ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক কমল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও ইথেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে। সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু একদিন উদযাপন করলে হবে না। এর চর্চা বাড়াতে হবে একই সঙ্গে মননে ধারণ করতে হবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সন্মাননা ২০২৩ ও শিল্পকলা প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পীর কণ্ঠ অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী। মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তারা গানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, কবিরাও সেসময়ে কবিতার মাধ্যমে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়া বর্তমান সংস্কৃতির চর্চা এখন হরিবাসর, নাম সংকীর্তন আর ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে না পারলে তারা অন্য সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হবে। তাই দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে আরও কর্মসূচি নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সন্মাননা ২০২৩ প্রাপ্তরা হলেন, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের প্রতিষ্ঠাতা তৃণা মজুমদার, কণ্ঠসংগীতে সম্পা দাস, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক মোস্তফা আল মেহমুদ রাসেল, যন্ত্রশিল্পী পরেশ কুমার মন্ডল ও চারুকলায় তাহমিদুর রহমান মনন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সন্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে সন্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবুবকর সিদ্দিক ও জেলা কালচারাল অফিসার মো. তাইফুর রহমান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার ৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই।
তিনি বলেন, নতুন আইনে বস্তায় দাম লেখা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় ঘটলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এমকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ২ বারের বেশি চাল ছাঁটাই করা যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন তিনি। তিনি বলেন, সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকরাই দেশের প্রাণ। এরাই মূল চালিকা শক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি।
এছাড়া কৃষক বেঁচে থাকলে এদেশে খাদ্যের অভাব হবে না- দুর্ভিক্ষ ও হবে না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকিকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সঙ্গে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা।
প্রযুক্তি ও কৃষির সমন্বয়ের ফলে গতবছর এক কেজি চালও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়নি, এবছরও হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে: খাদ্যমন্ত্রী
তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বিশেষ করে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানাতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।
তিনি আরও বলেন, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া বায়ান্ন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। এ দলের জন্মকাল থেকে শুরু করে এই ৭৫ বছরের অর্জন সেই সত্যের সাক্ষ্য বহন করে।
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রোহানি সুলতান গামা, নওগাঁ ৬ আসনের সংসদ সদস্য আইনজীবী ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২ বারের বেশি চাল ছাঁটাই করা যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকরাও সমাজকে সচেতন করতে পারেন। এছাড়া আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও চর্চা বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে খাদ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। সেকারণে নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এছাড়া ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা প্রত্যয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
তাই সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এছাড়া এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ হতে চাল আমদানি করছে না। তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বৈঠকে দুই দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ওএমএস এর আওতায় চাল-আটা ভর্তূকি মূল্যে বিক্রি করছে। এছাড়া বছরে দুইবার প্রতি ইউনিয়নে সাত থেকে আট হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক ভারত পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত। কারণ শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খাদ্যমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এবার থেকে কৃষকরা ফোনে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
তিনি বলেন, বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করা হয়। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার।
এরমধ্যে- ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একইসঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশন দিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। এর আগে (২১ এপ্রিল) আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওয়ের বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যাতে হয়রানিরি শিকার না হয়, সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। যাতে কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে ওই নম্বরে কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা।
তিনি বলেন, গত বছর আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি, এবারও লক্ষ্যমাত্রা পার হবে। চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত ও দাম লেখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে