সোমবার বিকালে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামসহ দুজনকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন- দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার ও দলের কর্মী শুকুর শেখ।
দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবলু শেখকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বাবলু শেখ বলেন, ‘বিকালে চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা বাজার থেকে আমাদের জোর করে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের সবাইকে বোরকা পরানো হয়। পরে আমাদের বাইরে এনে চেয়ারম্যান চিৎকার করে বলতে থাকেন যে আমরা তাকে হত্যা করতে এসেছি। এসময় তার ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ রিয়াদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, হতাহতদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিকালে বোরকা পরিহিত তিন-চারজন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের কার্যালয়ে ঢুকে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ছুটে এসে তাদের ধরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে গণপিটুনি দেয়। তবে আহতদের দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে চেয়ারম্যানসহ দুজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’