পৃথক দুই জানাজার নামাজ শেষে সোমবার ২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মানিকপীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, সোমবার দুপুরে নগরের হজরত মানিকপীর টিলা গোরস্থান প্রাঙ্গনে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যাক লোক জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জানাজার নামাজ শেষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাবেক এ মেয়রের মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সদ্য প্রয়াত সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রথম জানাযা সোমবার জুহরের জামাতের পরপরই নগরের ছড়ারপার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার ভাতিজা হাফিজ ইমতিয়াজ আহমদ আফজাল। প্রথম জানাজায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ নেতাকর্মীরা শরিক হন।
আরও পড়ুন: করোনায় সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যু
এদিনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কামরানের মরদেহ ছড়ারপাড়ায় তার নিজ বাসভবনের সামনে পৌঁছায়। কামরানকে লাশ বহনকারী গাড়িটি তার বাসভবনে প্রবেশ করলে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পরেন।
সোমবার ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের ফলাফল পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়েছিলো। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এ সভাপতি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি অনেকটা সুস্থ রয়েছেন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।