অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা মোট ১২১টি অর্থপাচার মামলা করেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদন্তের পর বন্ড সংস্থার বিরুদ্ধে অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রায় ১৫টি মামলা করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ ২০১৭ সাল থেকে বিগত পাঁচ আর্থিক বছরে অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নে জড়িত ২৪ হাজার ৯৭৭টি সন্দেহজনক লেনদেন পরীক্ষা করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ১০০২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন
মন্ত্রী বলেন, বিএফআইইউ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা (দুদক, সিআইডি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর) এ বিষয়ে আইনি তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ৫ দশমিক ৪ লাখ করদাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেননি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংসদকে বলেছেন যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে এই বছরের এপ্রিলের মধ্যে, মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ১ হাজার ৪৩১টি লিঙ্ক সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে এবং ১২০টি সাইবার হুমকি সংক্রান্ত সতর্কতা পাঠিয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি নজরদারি করছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী