লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের যৌথ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এ অভিযানে নিরীহরা যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেইজে লেখা হয়, ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যৌথ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। যেভাবে সারাদেশে নৈরাজ্য করছে অপরাধীরা, জনগণের স্বার্থেই তাদের নিবৃত্ত করা অতি প্রয়োজনীয়।’
তবে এ অভিযান চলাকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার সুপারিশ করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে কমিশন গঠন
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো দলটি আরও বলেছে, ‘বাংলাদেশে শত শত থানা লুটের সঙ্গে যারা জড়িত- কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সদস্য, তাদের ভিডিও ফুটেজ, বিভিন্ন সংবাদ ইতোমধ্যে প্রকাশিত। তাদের আইনের যথাযুক্ত প্রয়োগে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘কিন্তু ওই সব রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যদি যৌথবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে, তাহলে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কারণ তারা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের, এমনকি নিজ দলের প্রতিপক্ষকেও টার্গেট করবে।’
আওয়ামী লীগ বলছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্টরা অবশ্যই অস্ত্রধারীদের বিষয়ে কঠোর হবেন।’
কোনো নিরপরাধ মানুষকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় দলটি।
পোস্টের শেষে বলা হয়, ‘আমরা চাই, মাদক ও অবৈধ অস্ত্রমুক্ত বাংলাদেশ।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে থানা, পুলিশ লাইন, পুলিশ ফাঁড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে লুট হওয়া এবং থানায় জমা না হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া ৩৮৮০ অস্ত্র