সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা খুব সজাগ এবং সতর্ক। আমরাও জানি কোথায় কে কি করছেন। বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এসব চক্রান্তে চোখ কান আমাদের খোলা রাখতে হবে। এবার চোখ কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ই আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১শে আগস্ট প্রাধান টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এবং চক্রান্ত করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয় সে কারণেই তাকে হত্যাচেষ্টা।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন স্বপ্ন দেখছে। আগস্ট এলে এত ভয় পান কেন? আগস্ট হলো আপনাদের চক্রান্তের মাস। বিদেশিদের দরবারে গিয়ে নালিশ করছেন। নালিশের রাজনীতি করছেন। আজকে এই অবস্থায় আমাদের কথা বলতে হয়। সারা দুনিয়ার ছবি চোখে পড়ে না, শুধু বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তেলের দাম বাড়ে জ্বালানির দাম বাড়ে? কোথায় বাড়েনি বলুন? জিনিসপত্রের দাম কোথায় বাড়েনি। লন্ডনে হুট করে মুদ্রাস্ফীতি এখন ১০.১। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কথা নাই বললাম, সেখানে লাগামহীণভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেন নির্বাচন দরকার নেই, দরকার সরকারের পতন। সেজন্য এখন ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনাকে কেমন করে নামাবে, এটা হলো তাদের লক্ষ্য। আমরা আছি কিন্তু, এসেছি রাজপথ থেকে প্রয়োজনে আবারও যাবো। রাজপথে অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করা হবে। রাজপথ কাউকে লিজ দেইনি, রাজপথ জনগণের। রাজপথ কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি। এখানে কোন কৃত্রিমতা নেই, তাই আজকে সত্যকে সত্য বলব।
তিনি বলেন, মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করব না, কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিল, সে হলো আপনার প্রধান নেতা। মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর রাজনীতি করবে না, এখন বিদেশে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়ে। এছাড়া ফখরুল সাহেবকে সেখান থেকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, ওখান থেকে স্লোগান দেয়। ওখান থেকে বলে টেক ব্যাক এখান থেকে বলে বাংলাদেশ। টেক ব্যাক কারা করবে বিএনপি? আবারও ৭৫ ও ২১শে আগস্ট ঘটানোর জন্য? আবারও দুর্নীতির হাওয়া ভবন করার জন্য?
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পাণিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের