বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে জড়ো হন।
সকাল ১১টার দিকে শনির আখড়া, ধোলাইখাল, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, নয়াবাজারসহ উত্তরা ও গাবতলীর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে গয়েশ্বরকে আটক করে।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে আমানকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
বেলা ১১টার দিকে আমান বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেক পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামনে জড়ো হন, যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা কাছেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে পুলিশ আমান ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
আমান প্রত্যাখ্যান করলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমান মাজার রোডের নাবিল পরিবহনের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির আরও পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ সব এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার