বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার রাজধানীতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের জন্য সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনে রাজধানীতে আজ (সোমবার) সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সরকার এতটাই ভয় পেয়েছে যে আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে দিচ্ছে না,’ বলেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন যে পূর্বঘোষিত সমাবেশের কর্মসূচিকে বানচাল করতে পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের সড়ক এবং অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে। ‘এমনকি তারা নয়াপল্টন এলাকায় যুদ্ধংদেহী পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, যখন তখন যেকোনো সময় আওয়ামী লীগ যেকোনো স্থানে সভা-সমাবেশ করতে পারে। অথচ বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের মানুষদের সেই অধিকার নেই। সারাদেশই যেন আওয়ামী লীগের তালুকদারীতে পরিণত হয়েছে।
‘এদেশে শুধুমাত্র একজনেরই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তিনি হলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক গণতন্ত্র চলছে। একমাত্র শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতাই রয়েছে চরম পর্যায়ে। আর শেখ হাসিনার এই দু:শাসনে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও ভিন্নমতের মানুষরা সাবহিউম্যানে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আজকের সমাবেশে ‘বাধার’ প্রতিবাদে রিজভী বলেন, তাদের দল মঙ্গলবার রাজধানীর সকল থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে দলটির নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ পরেন এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা গত সপ্তাহে এক বৈঠকে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেন।