২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন।
বুধবার দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবিরের আদালতে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি সরওয়ার চৌধুরী আবদাল।
আদালতে সাক্ষ্য দেন শাহ এ এমএস কিবরিয়ার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো আব্দুল্লাহ, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রহমত আলী, আব্দুল মতিন ও ইমান আলী। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
আরও পড়ুন: কিবরিয়া হত্যা: পাঁচ বছরে সাক্ষ্য দিল মাত্র এক-চতুর্থাংশ সাক্ষী
আসামি না আসায় কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১ মাস পেছাল
সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার আসামিদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১৯ আসামি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ৩ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারির এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তিন দফায় তদন্ত করে সিআইডি। প্রথম দফায় ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাদী মজিদ খান। পরে ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য ফের সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলা
এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১১ সালের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া এই অভিযোগপত্রের উপরও নারাজি আবেদন করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।