সাবেক অর্থমন্ত্রী
সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর)। বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে বিএনপি এবং দুররে সামাদ রহমান ও সাইফুর রহমান ফাউন্ডেশন মিলাদ মাহফিল, কোরআনপাঠ ও খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
এদিন সকালে মৌলভীবাজারে সাইফুরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন।
এছাড়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহতের বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও কোরআনখানি এবং দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে।
সাইফুরকে স্মরণ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে স্থানীয় বিএনপি।
এদিকে, সাইফুরের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জাতির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে সাইফুরের ভূমিকাকেও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন ফখরুল।
১৯৩২ সালের ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে জন্মগ্রহণকারী সাইফুর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছিলেন।
তিনি জিয়ার মন্ত্রিসভায় প্রথমে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং পরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা সাইফুর সংসদে ১২ বার বাজেট পেশ করেন। তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
১ বছর আগে
এম এ মুহিত সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন ভালো মানুষ ছিলেন। দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে সারাজীবন তিনি কাজ করে গেছেন। তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন সফল মানুষ হিসেবে সর্বসাধারণের ভালোবাসা পেয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত মরহুম মুহিতের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা মুহিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এভাবেই তাঁর স্মৃতিচারণ করেছেন।
মুহিতের ছোট ভাই, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় মূলবক্তা ছিলেন মুহিতের বন্ধু, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করে মোকাম্মেল হক বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নের জন্য সারাজীবন চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুহিত বিশেষ অবদান রেখেছেন।
মুহিতের ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ করে সাবেক এই সচিব বলেন, তিনি কখনো ক্ষমতার বড়াই করতেন না। তিনি দীর্ঘকাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে, মর্যাদার সাথে দায়িত্ব পালনকালেও তিনি ক্ষমতায় আছেন কি নাই তা কখনো বুঝা যেত না। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞায় দেশ ও জনগণ অনেক উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি শুধু নিজের বড়ভাইকে হারাইনি বরং হারিয়েছি একজন প্রকৃত বন্ধু ও একজন আন্তরিক সহকর্মীকে। একইসাথে দেশ হারিয়েছে এক অমূল্য সম্পদকে।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই আমার তো বটেই, আমাদের অনেকের জন্যেই তিনি ছিলেন একজন মেন্টর।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুহিত ভাই দেখিয়ে গেছেন-সততা, আন্তরিকতা, ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকলে মানুষ যেকোনো ভালো কাজ বাস্তবায়ন করতে পারে। মুহিত ভাই পৃথিবীর সকল ভালো ভালো আইডিয়া গ্রহণ করতেন আর দেশের জন্য সেগুলো কাজে লাগাতেন।
ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের স্মরণে এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর এই উপলক্ষে আমাদের প্রতিজ্ঞা করা প্রয়োজন, আমরা যেন সবাই দেশকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসি, দেশের জন্য কাজ করি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকের সঞ্চালনায় এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃস্থানীয়সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
২ বছর আগে
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত,। আমাদের জাতি একটি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।তিনি আমাদের দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। ’
সাইদা মুনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুহিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বৈশ্বিক সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
হাইকমিশনার বলেন, দেশের একজন বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী ও সফল অর্থনীতিবিদ মুহিত বাংলাদেশের সংসদে রেকর্ড সংখ্যক জাতীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মুহিতের অসংখ্য প্রকাশনা আজকের সরকারী কর্মচারী এবং একাডেমিয়াকে গাইড করে চলেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতির নেতৃস্থানীয় পৃষ্ঠপোষক মুহিতের আলোকিত চেতনা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রয়াত এ এম এ মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।’
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
সাবেক অর্থমন্ত্রী, সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, ভাষাসৈনিক, বরেণ্য লেখক আবুল মাল আবদুল মুহিতের শেষ জানাযার নামাজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে।রবিবার (১ মে) বেলা ২টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ি। জানাযার পরে আলিয়া মাঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।জানাযার আগে মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। এসময় বক্তারা মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রীএর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ। সেখানে ফুল আর চোখের জলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের সিলেটবাসী।শহীদ মিনারে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে সেখানে সিলেটের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হন।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ।প্রথমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) একটি চৌকস দল ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। পরে প্রয়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেনএরপর সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদসহ আরও অনেকে।শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জানাজার জন্য মরদেহ আনা হয় নগরের আলিয়া মাদরাসা ময়দানে।মরদেহ আসার আগেই মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশালাকারের মাঠ। সিলেটের সূর্য সন্তানের জন্য মানুষের ভালোবাসা আরেকবার প্রমাণিত হলো জানাজায় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। এ সময় জানাজার আগে মরহুমের স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।সেখানে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আবুল মাল আবদুল মুহিতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরের রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। সেখানে তার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ এবং মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। বেলা পৌনে ৩টায় দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোকএর আগে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মুহিতের লাশ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যান সিলেটের পথে রওয়ানা হয়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরের হাফিজ কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। সেখানে মরদেহ গ্রহণ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সেই রাখা হয় মরদেহ। সিলেটের মানুষ তাকে একনজর দেখে নেন শেষ দেখা। তবে মরদেহ আসার আগে থেকেই সেখানে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হন। মরদেহ আসার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়।এদিকে, সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে থেকেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ধোপাদিঘীরপাড় হাফিজ কমপ্লেক্সে ভিড় করেন। এসময় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বাসার আঙ্গিনা।সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে ২ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।প্রসঙ্গত, আবুল মাল আবদুল মুহিত বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যের নানা জটিলতা ও লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। এরপর গত শুক্রবার রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।মুক্তিযুদ্ধে দেশের পক্ষে অনন্য অবদান রাখা দেশের এই কৃতি সন্তান ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে। শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শনিবার বেলা ২টায়। এর পরপরই সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওয়ানা করা হয়।বর্ণাঢ্য জীবনসংক্ষেপ :আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান তিনি। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত শিক্ষক।যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।সিএসপি হওয়ার পর মুহিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তিনি পরিকল্পনাসচিব হন। এর আগে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এটিই ছিল এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হলে সেপ্টেম্বরে তিনি হন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক।আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন এবং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন। শর্তটি ছিল, নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।এরশাদ কথা না রাখলে দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মুহিত। এরপর তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এ পদক দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জনপ্রশাসন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়ে মুহিত বই লিখেছেন ৪০টি।অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত মোট ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন, যার ১০টি আওয়ামী লীগ সরকার আমলের।
২ বছর আগে
সিলেটে পৌঁছেছে এএমএ মুহিতের মরদেহ
সাবেক অর্থমন্ত্রী, কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক এ এম এ মুহিতের মরদেহ শনিবার রাত ১০টার দিকে সিলেট পৌঁছেছে। এই সময় সেখানে গর্বিত এই সন্তানকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করে।
পরে শহরের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুর ২টায় সিলেট সরকারী আলিয়া মাদনাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে নগরীর রায়নগরস্থ পারিবারিক গোরস্তানে মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
এএমএ মুহিত, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রীদের একজন। একমাত্র তিনি টানা ১০ বছর ধরে অর্থনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের এই স্থপতি শনিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গুলশান আজাদ মসজিদে মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শনিবার জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
মুহিত বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তার করোনা ধরা পড়ে, এরপর তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। তারপর মার্চ মাসে বার্ধক্যে কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমরা দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, ভদ্র মানুষকে হারালাম।শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিক মুহিতের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ভব্যতা-ভদ্রতাসহ অনেক কিছু তার কাছে শেখার ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, কনিষ্ঠ ও অনুজদের মুহিত ভাই যেভাবে আপন করে নিতেন, তা ছিল অভাবনীয়। তার মৃত্যু আমাদের দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ যে আজকে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ যে আজকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এইক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোতভাবে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিততথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আবুল মাল আবদুল মুহিতের মাধ্যমে দেশে মোট ১২টি বাজেট পেশ হয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের দশটি বাজেট দিয়েছেন একাধারে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং এই প্রাজ্ঞ মানুষটি। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণকারী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি বর্তমান সিলেট শহরের ধোপা দিঘির পাড়ে পৈতৃক বাড়িতে। ২০০৯ সাল থেকে টানা দশ বছর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদানকারী মুহিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আগামীকাল রবিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ আনা হবে। রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
পরে দুপুর ২টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার রায়নগরের ডেপুটি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
২ বছর আগে
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও জ্যৈষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হবে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের উদ্দ্যেশ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন।
এছাড়া বেলা ১১টার দিকে কিবরিয়ার পরিবার পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানের তার কবর প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলায় ন্যায় বিচারের দাবিতে সেখানে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করবেন তার পরিবার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ পাঁচজন এবং আহত হন অন্তত ৪৫ জন।
এ ঘটনায় ওই দিনই রাতে দুটি মামলা করা হয়।
হামলার ১০ বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালে হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়।
বর্বর এ হামলার ঘটনার ১৭ বছর পার হলেও দুই মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ
কিবরিয়া হত্যা: পাঁচ বছরে সাক্ষ্য দিল মাত্র এক-চতুর্থাংশ সাক্ষী
২ বছর আগে
করোনা আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সিএমএইচে ভর্তি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে তিনি বাসায় চিকিত্সাধীন ছিলেন এবং বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবুল মাল আবদুল মুহিতের শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। তিনি সুস্থ আছেন, তবে কিছুটা দুর্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।
পড়ুন: করোনায় দেশে আরও ২৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫,২৭১
৮৭ বছর বয়সী সাবেক অর্থমন্ত্রী রবিবার কোভিড-১৯ শনাক্ত হন।
তার বড় ছেলে শাহেদ মুহিতও করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তার ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
পড়ুন: ২৫ বছর হলেই করোনার টিকা
টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
সিলেটসহ দেশ-বিদেশে মুহিতের সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিলের সময় সবাইকে ভিড় না করে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
৩ বছর আগে
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পূর্ণ হলেও মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি। নানা অজুহাতে পিছিয়ে যাচ্ছে মামলার কার্যক্রম।
৩ বছর আগে