আরও পড়ুন: আসামি না আসায় কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১ মাস পেছাল
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুরুল হুদাসহ পাঁচ নেতা-কর্মী নিহত হন। সেই সাথে হবিগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিরসহ ৭০ জন আহত হন।
আরও পুড়ন: আবারও পেছাল সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলা
ওই দিন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২১ বছর পর রায়: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তিন দফা এ মামলার তদন্ত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন নেছা পারুল ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: রেজা কিবরিয়াকে বহিষ্কারের ঘোষণা গণফোরামের একাংশের
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, এ মামলায় মোট ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি উভয় মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।
‘এ মামলার মূল আসমিদের বিরুদ্ধে সারা দেশে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাদের দেশের বিভিন্ন আদালতে হাজির করার জন্য এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করতে হয়েছে। তাই মামলার ধার্য তারিখে সব সময় আদালতে হাজির সম্ভব হয় না। এতে মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিকভাবে বিরোধীতা করারও জায়গা নেই: ড. রেজা কিবরিয়া
সরোয়ার আহমদ আরও জানান, মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজনের ইতোমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় শ্বাসরোধে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ মামলার নয় আসামি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফ চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছসহ নয় আসামি জামিনে আছেন।