এ ব্যাপারে ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের গঠিত মনোনয়ন বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন।
সোনাগাজী পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত না হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূলের ভোটাভুটিতে মেয়র প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করবে। দলীয় মনোনয়ন পেতে এর আগে তারা জেলা আওয়ামী লীগের গঠিত মনোনয়ন বোর্ড থেকে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে।
অভিযোগে বলা হয়, সোনাগাজী পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন তাদের অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে রেখেছেন।
অভিযোগের সত্যতা জানতে প্রতিবেদক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অন্তত ১২ জন সভাপতি ও সম্পাদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সবগুলো নম্বর বন্ধ পান। এমন কী তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে খুঁজে পাননি।
সোনাগাজী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন ছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমাম উদ্দিন সেলিম পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর আলম মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক নাছির উদ্দিন ভূঁঞা আরিফ, পৌর কাউন্সিলর নুর নবী লিটন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শরিয়ত উল্যাহ রনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়েই দলীয় ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। কাউকে অপহরণের বিষয়টি সত্য নয়।’ তাহলে তারা কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক মাস্টার আলী হায়দার জানান, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারী এমপিকে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।