রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সম্মেলন শেষে নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা হেফাজতের প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক শীর্ষ মুরুব্বী অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনের শুরুতে হেফাজতের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে আহ্বায়ক করে ১২ সদস্যের সম্মেলন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। তাদের পরিচালনায় উপস্থিত নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুর পর হেফাজত আমিরের পদ শূন্য হওয়ায় নতুন আমির এবং মহাসচিব নির্বাচনের জন্য এ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর প্রথমবারের মত আয়োজিত এ সম্মেলনকে ঘিরে সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
হেফাজত নেতারা জানান, দিনব্যাপী এ সম্মেলন ও কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আসা প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক প্রতিনিধি জুনায়েদ বাবু নগরীকে আমির ও মাওলানা কাসেমীকে নতুন মহাসচিব নির্বাচিত করেন।
এর আগে হেফাজতের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করা হবে বলেও জানা গেছে। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সারা দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতের নতুন আমির নির্বাচিত হওয়ার পর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য হেফাজতে ইসলাম কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম বিরোধী যত অপশক্তি আছে তাদের নির্মূল, কাদিয়ানী ও নাস্তিক-মুরতাদের নির্মূল করার জন্য, কলিজার টুকরা নবীজিকে যারা কটাক্ষ করে তাদের প্রতিরোধ করার জন্য যদি রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয় সেজন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’