দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই পাতানো ও সাজানো নির্বাচন করতে সরকার ছক ধরে এগোচ্ছে। আমাদের সিনিয়র নেতাদের নামে মামলা দায়ের আমরা মনে করি তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ।’
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ‘বিশাল’ জনসমাবেশের পর থেকে সরকার আরো বেশি ক্ষিপ্ত এবং প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছে। ‘জনসভা শেষে পাইকারি হারে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর সরকার এখন আমাদের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে হাস্যকর এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির ৫৫ নেতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মামলাটি মিথ্যা, মনগড়া এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন করার জন্য অস্ত্র হিসেবে নিষ্ঠুর দমনমূলক আইনগুলো ব্যবহার করছে।’
রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে এই ‘মিথ্যা’ মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে সরকারকে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে আষাঢ়ে গল্পের একটা ফরমেট সবসময়ই প্রস্তুত থাকে এবং মামলা দেয়ার ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। ‘একই ফরমেটের ধারাবাহিকতায় আমাদের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘এটা প্রমাণ করে যে সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি তোলায় তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেইসবুক পোস্ট নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যম এবং জনগণের টুঁটি টিপে ধরতে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।