সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগরীর মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর সড়কে এমনই বই বাগান করেছেন মুনতাসির মামুন। তার বাড়ির (৬২৯নং) সামনে বিকাল বেলায় পাঠকদের জন্য ভ্রাম্যমাণ বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি কেউ বই কিনতে চাইলে তারও সুযোগ রয়েছে।
মুনতাসির মামুন খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বুয়েটে পড়ালেখা করেছেন। বর্তমানে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) সহকারী প্রকৌশলী (একান্ত সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে কর্মরত।
মুনতাসির মামুন বলেন, নগরীতে প্রচুর পরিমাণ খাবার রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যার ফলে ছোট থেকে বড় সবারই খাবারের প্রতি উৎসাহ বেশি। অনেকেই শখের বশত বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় খুব যত্ন নিয়ে বাগান করেন। কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদী নয়। এসব কথা চিন্তা করেই বই বাগানের যাত্রা শুরু করেছি। প্রতি শুক্রবার নগরীর বয়রাস্থ ইসলামী ফাউন্ডেশনের কাছে বাদ জুমায় এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বসে।
তিনি বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট এর যাত্রা শুরু করেছি। প্রথম দিনেই পাঠকদের মধ্যে অনেক সাড়া পেয়েছি। এছাড়া বিকালে আমার বাড়ির সামনেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থাকে। শিশুরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে লাইব্রেরিতে আসে।’
প্রাথমিকভাবে ইসলামীক কিছু বই লাইব্রেরিতে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞান, মোটিভেশন, ক্যারিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে বই ও নানা ধরনের শিশুতোষ পত্রিকা রাখার ইচ্ছা আছে। তবে পাঠকরা ইসলামী বইতে বেশি উৎসাহী। কারণ ইসলামী বইগুলো বাজারে কম বিক্রি হয়। সেক্ষেত্রে ছোটদের বিষয় মাথায় রেখে আল্লাহর নূর, রাসূল রাজা, মা মা মা এবং বাবা, সম্মানিত অতিথিরা, ধৈর্যশীল এক লোকের গল্প, ইসলামে স্বপ্ন, আসুন কোরআনের সাথে কথা বলি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বই লাইব্রেরিতে রেখেছি, বলেন মামুন।
এ ব্যাপারে মুজগুন্নি এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আসলেই বিষয়টি ব্যতিক্রমী। এভাবে কখনই চিন্তা করা হয়নি। বই থেকে পাঠকরা যে জ্ঞান পায় তা শেষ হওয়ার নয়। বড়-ছোট সকলেই এই লাইব্রেরিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তাদের দাবি, একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এই ধরনের বই পড়া এবং বিক্রির সুযোগ করলে অনেকেই উপকৃত হবেন।