রবিবার সকাল ৮টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পল্লীকবির কবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, জসীম ফাউন্ডেশন, আনছারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এছাড়াও কবির বাড়ির আঙ্গিনায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ‘জসীমউদদীন ছিলেন গ্রাম বাংলার কবি। তার লেখনিতে গ্রামের রুপকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের শিশু-কিশোরদের পল্লীকবির জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বেশি করে জানাতে হবে। তবেই নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য বুঝতে পারবে।’
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে আংশ নেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আসলাম মোল্লা, দীপক কুমার রায়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ আলী, সারদা সুন্দারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কাজী গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মধুকবির জন্মদিন পালন
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন। পৈতৃক নিবাস একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। শৈশবে ফরিদপুর হিতৈষী স্কুলে জসীমউদ্দীনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। তারপর ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯২৯ সালে বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩১ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি এম এ পাস করেন।
আরও পড়ুন: গীতিকার, কবি লতিফুল ইসলাম শিবলী করোনায় আক্রান্ত
জসীমউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে দীনেশচন্দ্র সেনের আনুকূল্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এ কাজে তিনি নিযুক্ত হন। এমএ পাস করার পর থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী ছিলেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। এখানে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত চাকরি করার পর ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি প্রথমে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে এখান থেকে উপ পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করে তিনি ঢাকার কমলাপুরে নিজ বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।