এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, / তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (কবর)
ও বাবু সেলাম বারে বার,/ আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু/ বাড়ি পদ্মা পার। (ও বাবু সেলাম বারে বার)।
আরও পড়ুন: কোভিডে আক্রান্ত কবি মনজুরে মওলার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
এরকম অনেক জনপ্রিয় কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে যে কবি পেয়েছিলেন ‘পল্লী কবি’ উপাধি, সেই কবি জসীম উদ্দীনের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী ১ জানুয়ারি, শুক্রবার তার জন্ম স্থান ফরিপুর শহরে পালিত হলো।
দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুর শহরতলী অম্বিকাপুরে কবির সমাধিস্থলে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গীতিকার, কবি লতিফুল ইসলাম শিবলী করোনায় আক্রান্ত
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিপক রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা। এছাড়াও শহরে কবি জসীম উদ্দীন হলে সন্ধ্যায় লোকজ সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
জসীম উদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুলে (বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুল) পড়ালেখা করেন। এখান থেকে তিনি তার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৯২১ সনে উত্তীর্ণ হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয় থেকে বি এ এবং এম এ শেষ করেন যথাক্রমে ১৯২৯ এবং ১৯৩১ সালে।
কবি জসীম উদ্দীন ১৯৩৯ সালে মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ৩ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার ও আনোয়ার হাসু। পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালী, বালুচর প্রভৃতি। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।