সকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ডিএসসিসির নবগঠিত পাঁচ অঞ্চলের ১৮ ওয়ার্ডসহ পুরোনো ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইপিআইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
নবগঠিত ১৮ ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘নতুন ১৮ ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এ নগরের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাই।’
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা করপোরেশনের গুরু দায়িত্ব উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘এ গুরু দায়িত্ব পালনে দৃঢ় প্রত্যয়, দৃঢ় সংকল্প আমাদের রয়েছে। আজকের এ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা আজ থেকে এ কার্যক্রমের নব সূচনা শুরু করব। ইনশাআল্লাহ আগামী এক বছরের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একশত ভাগ সন্তানকে আমরা ইপিআই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসব।’
সুস্থ-সবল জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ পোলিও রোগ মুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি সুস্থ জাতি গঠনের মূলে থাকে সে জাতির স্বাস্থ্য সুরক্ষা। কিন্তু সুস্থ, সবল জাতি গঠনের অন্তরায় হলো রোগ-বালাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে দেশ পোলিও রোগ মুক্ত হয়েছে, দেশের ৭৫ শতাংশ নানা ধরনের রোগ কমে এসেছে। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরোর উপাধি পেয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র তাপস বলেন, ‘অনেকেই হয়তো জানেন না কোথায় টিকা দেয়া হয়, এজন্য প্রতিটি নাগরিকের বাসায় আপনারা যান। তাদের নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে পাঠাতে উৎসাহিত করুন, যাতে আমাদের কোনো সন্তান এ কর্মসূচিরর বাইরে না থাকে।’
করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এমএনসিঅ্যান্ডএইচের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়া ভেন্ডেনান্ট, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমিউনাইজেশন সিস্টেম স্ট্রেনদেনিংয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. বালিন্দর সিং চাওলা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা জেলার সিভিল সার্জনসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।