লুইস হাতেগোনা কয়েকজন আমেরিকান কবির একজন যিনি এ পুরস্কার পেলেন। সর্বশেষ আমেরিকান হিসেবে ২০১৬ সালে পুরস্কারটি পান বব ডিলান। আর ১৯০১ সালে পুরস্কার দেয়া শুরুর পর থেকেই এখানে আধিপত্য দেখিয়ে চলেছেন ঔপন্যাসিকরা।
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া অল্প কয়েকজন নারীও একজন লুইস। তিনি এ ক্ষেত্রে রয়েছেন তালিকার ১৬ নম্বরে।
স্টকহোমে পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব ম্যাটস মাল্ম এক মানপত্র পাঠের সময় বলেন, গ্লাকের অভ্রান্ত কাব্যিক স্বরের প্রশংসা করে নোবেল কমিটি। যে স্বর অনাড়ম্বর সৌন্দর্য্য দিয়ে একজনের অস্তিত্বকে করে তুলে সার্বজনীন।
প্রচারণার আলো এড়িয়ে চলা গ্লাকের কাছ থেকে পুরস্কার জয় বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া গ্লাক (৭৭) ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ফার্স্টবর্ন’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। তারপরই তিনি আমেরিকান সমসাময়িক সাহিত্যে অন্যতম প্রখ্যাত কবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যান বলে নোবেল কমিটি জানিয়েছে।
নোবেল সাহিত্য কমিটির সভাপতি আন্দ্রেস ওলসন বলেন, গ্লাকের ১২টি কবিতা সংগ্রহ স্বচ্ছতার প্রয়াস হিসেবে বৈশিষ্ট্যময়।
গ্লাকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মাঝে রয়েছে ‘ডিসেন্ডিং ফিগার’, ‘আরারাত’, ‘আভার্নো’ ও ‘দ্য ট্রায়াম্ফ অব অ্যাকিলিস’। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিস’ গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরষ্কার লাভ করেন।