পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলামের অপসারণের দাবির পর এবার তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলেম-ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে ইমাম সমিতি মহিপুর থানা শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় ইউএনও রবিউল ইসলাম এর অপসারণসহ আলেম-ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য তার শাস্তি দাবি করেন তারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তৌহিদি জনতা। এ সময় ইউএনও রবিউল ইসলামের অপসারণ দাবি করেন তারা।
তৌহিদি জনতার আন্দোলনের পর রবিউল ইসলাম তার ইউএনও কলাপাড়া নামে ফেসবুক আইডিতে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আইনের আওতায় এনে শাস্তির হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ: পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত
তার ভাষ্যে, ওই স্ট্যাটাসে আলেম-ওলামা এবং দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করেন ইউএনও। আলেম-ওলামাদের নিয়ে ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কারী নজরুল ইসলাম, সাগর সৈকত জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে।
এ সময় কারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৩ বছর আমি ওই মসজিদে ইমামতি করেছি। মসজিদের পশ্চিম পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন ডোবা ভরাট করে মসজিদ কমিটি মাটি ভাড়া দেয়। যা দিয়ে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের বেতন দেওয়া হতো। সরকারি জমি দাবি করে ইউএনও ওই মার্কেট ভেঙে দেন।’
নজরুল ইসলামের দাবি, ওই জমি মসজিদ কমিটি ক্রয় করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওই জমিতে ইউএনও নিজ অর্থায়নে মার্কেট নির্মাণ করছেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি জেল-জরিমানার হুমকি দেন।’
সাগর সৈকত জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোস্তফা কামাল অভিযোগ করেন, ইউএনও মসজিদের নাম করে পাবলিক টয়লেট, মার্কেট নির্মাণ করছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিলেও তিনি তার জবাব দিচ্ছেন না।
ইউএনও নিজেই সরকারি জমি দাবি করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেন বলেও অভিযোগ করেন মোস্তফা কামাল। তবে মুসল্লিরা তাকে সভাপতি মানে না বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুসল্লিরা বলেন, মসজিদের জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও মিথ্যাচার করেছেন।