বরিশাল নগরীতে মাইকিং চলছে ৫২২ কেজি ওজনের একটি স্ট্রিং রে (আঞ্চলিক নাম শাপলা পাতা) মাছ বিক্রির জন্য। মঙ্গলবার ভোর ৭টা থেকে নগরীর অলিগলিতে মাইকিং করছেন রুবেল নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। ভ্যান ভাড়া করে তাতে মাছটি রেখে চলছে এই প্রচারাভিযান।
রুবেল বলেন,’ আমি পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী। সোমবার (৩০ আগস্ট) মাঝ রাতে খবর পেলাম তালতলীতে বেদে সম্প্রদায়ের এক লোকের জালে বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল শাপলা পাতা মাছ। দরদাম করে কিনে নিয়ে এসেছি। মাছ বিক্রি করে তাকে টাকা পরিশোধ করব।‘
আরও পড়ুন: কমছে পদ্মার ইলিশ, বাড়ছে দাম
বেদে জেলের বরাত দিয়ে রুবেল বলেন, ইলিশ ধরার জন্য বরিশাল শহরের উপকণ্ঠে তালতলী নদীতে জাল ফেলে। কিছুক্ষণ পরে নদীর পানি কমতে থাকায় শাপলা পাতা মাছটি জালে ওঠে। জালে পেঁচিয়ে পড়ে নৌকা-জালসহ টেনে নদীর মধ্যে নিয়ে যেতে থাকে। তবে বেশি পানি না থাকায় আর ভালোভাবে জালে পেঁচিয়ে পড়ায় মাছটি যেতে পারেনি। তালতলী ঘাটে মাছটি নিয়ে আসার পরে ৩৫০ টাকা কেজি দরে দাম দেওয়ার চুক্তিতে সেই বেদে জেলের কাছ থেকে মাছ নিয়ে এসেছে।
এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আনুমানিক ১৩/১৪ মন অর্থাৎ ৫২২ কেজির মত হবে মাছটির ওজন। আমি মাইকিং করছি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। পোর্টরোড রসুলপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান রুবেল।
আরও পড়ুন: দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
লকডাউন, মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন কারণে বিগত দুই বছর ধরে মাছ ব্যবসা ভালো চলছিল না উল্লেখ করে রুবেল আরও বলেন, শাপলা পাতা মাছটি যদি বিক্রি করতে পারি তাহলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবো। তাছাড়া বেদে জেলেরও ভাগ্য খুলে গেছে। যদিও বেদে জেলের নাম জানেন না বলে দাবী করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আঞ্চলিকভাবে শাপলা পাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। ইংরেজি নাম লিওপার্ড স্টিনগ্রে। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে সচরাচর পাওয়া গেলেও বর্তমানে দুর্লভ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ধরা পড়ল ১০ মণ ওজনের ‘শাপলা পাতা’ মাছ