পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সকাল থেকে দফায় দফায় মিছিল করেছে শ্রমিকরা। এ সময় মিল গেটের সামনের সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলের প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের ৯-১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে।
এছাড়া, সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ২-৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার বার আশ্বাসের পরও বিজেএমসি পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন কার্যকর করেনি। ফলে বাধ্য হয়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।’
এদিকে, ধর্মঘট চলাকালে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন, প্লাটিনাম মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা সারমিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, খালিশপুর জুট মিল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শেখসহ সিবিএ-নন সিবিএ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে শ্রমিকদের ১১দফা বাস্তবায়নের জন্য বিজেএমসি কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আহ্বান জানান।
খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম ও যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, মজুরি কমিশন কার্যকর ও প্রতি সপ্তাহের মজুরি প্রতি সপ্তাহে প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে গত ১৭ নভেম্বর ৬ দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।