বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মেয়াদী ঋণে কিস্তি সুবিধা কম হওয়া সত্ত্বেও দেশের ব্যাংকগুলো ২০২২ সালের প্রথম ছয়মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে এবং এ সময়ে দুই হাজার ৮১৬ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
বিবির তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো চার হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। বাকি ৭৭৯ কোটি টাকা বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিবি কোভিড মহামারি চলাকালীন ঋণ স্থগিত ও কিস্তির সুবিধা কমিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ বেড়ে এক দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংকগুলো প্রায় পাঁচ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা পুনঃতফসিল করার অনুমোদন দিয়েছে, যা এই খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
ব্যাংকাররা জানান, মহামারির কারণে অনেক ছোট-বড় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই মহামারির কথা বলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনিয়ম দুর্নীতি করে দেয়া ঋণও আদায় করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
ফলস্বরূপ, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে এবং বর্তমানে দেশের মোট ঋণের প্রায় ৯ শতাংশ খেলাপি ঋণ।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে অক্টোবরে উই-এর শীর্ষ সম্মেলন
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের