সিলেট, ০৫ জুলাই (ইউএনবি)- সিলেটের মূক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হাসপাতালটির কক্লিয়ার প্রতিস্থাপন সেবার মাধ্যমে জন্মবধিররা শুনতে পাবে। অস্ত্রোপচার করে মেশিন বসানো আর বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে তারা শোনার পাশাপাশি কথাও বলতে পারবে।
আগামী আগস্ট মাস থেকে ওসমানী হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের কৃতিসন্তান জয়নুল বারী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় তার বন্ধু এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক জন্ম থেকেই শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রজেক্ট’ চালুর অনুরোধ জানান। তার অনুরোধে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে নতুন যোগ দেয়া ৫ নার্সের করোনা শনাক্ত
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার জানান, বর্তমানে প্রজেক্টটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রজেক্টের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতোমধ্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের ল্যাবরেটরির কাজ শেষ হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্টও পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র অপারেশন থিয়েটারের কাজ চলমান আছে। সকল কাজ সম্পন্ন করে আগামী আগস্ট মাস থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ওসমানী হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হাসপাতালটির নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়াদ্দারের তত্ত্বাবধানে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে দেশে প্রথম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম উচ্ছ্বাস এবং জন্ম থেকে শুনতে না পাওয়া মানুষদের ব্যাপারে ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মবধিরদের কানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর শ্রবণ শক্তি ফিরে পেতে তাদেরকে অডিও ভারভালসহ বিভিন্ন থেরাপি দেয়া হবে। এই প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে ৪৮টি কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ক্রয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত লাশ
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতাধীন ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাও সম্পন্ন হয়েছে।