সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রোগীর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলাকারী রোগীর স্বজনদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, রবিবার হাসপাতালে এক রোগীর দুই আত্মীয় ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনার জের ধরে রোগীর স্বজনরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে কুপিয়ে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
আহত ইন্টার্নরা হলেন- রুদ্র ও নাইমুর রহমান ইমন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমদ মুন্তাকিম চৌধুরী বলেন, বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
আরও পড়ুন: বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী জানান, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে রোগীরা হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারছে না, ফলে চরম ভোগান্তি পড়েছেন তারা।
২ বছর আগে
কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া (৬৮) মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই দুপুরে তিনি মারা যান।
আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মুজিবুর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কুমারছানা গ্রামের মৃত দরছ উদ্দিনের ছেলে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৬ সালে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।
মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগেই মারা গেছেন তিনি।’
কারাগার সূত্র জানায়, মুজিবুরকে গ্রেপ্তারের পর ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ২৫ মে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার বুকের ব্যথাসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকারী সার্জন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, মুজিবুর ও তার আরও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়ে দণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে একজনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
নাটোরে কারাগারে হাজতির মৃত্যু
৩ বছর আগে
ওসমানী হাসপাতালে হবে বধিরদের জন্য কক্লিয়ার প্রতিস্থাপন
সিলেট, ০৫ জুলাই (ইউএনবি)- সিলেটের মূক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হাসপাতালটির কক্লিয়ার প্রতিস্থাপন সেবার মাধ্যমে জন্মবধিররা শুনতে পাবে। অস্ত্রোপচার করে মেশিন বসানো আর বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে তারা শোনার পাশাপাশি কথাও বলতে পারবে।
আগামী আগস্ট মাস থেকে ওসমানী হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের কৃতিসন্তান জয়নুল বারী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় তার বন্ধু এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক জন্ম থেকেই শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রজেক্ট’ চালুর অনুরোধ জানান। তার অনুরোধে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে নতুন যোগ দেয়া ৫ নার্সের করোনা শনাক্ত
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার জানান, বর্তমানে প্রজেক্টটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রজেক্টের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতোমধ্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের ল্যাবরেটরির কাজ শেষ হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্টও পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র অপারেশন থিয়েটারের কাজ চলমান আছে। সকল কাজ সম্পন্ন করে আগামী আগস্ট মাস থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ওসমানী হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হাসপাতালটির নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়াদ্দারের তত্ত্বাবধানে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে দেশে প্রথম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম উচ্ছ্বাস এবং জন্ম থেকে শুনতে না পাওয়া মানুষদের ব্যাপারে ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মবধিরদের কানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর শ্রবণ শক্তি ফিরে পেতে তাদেরকে অডিও ভারভালসহ বিভিন্ন থেরাপি দেয়া হবে। এই প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে ৪৮টি কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ক্রয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত লাশ
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতাধীন ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাও সম্পন্ন হয়েছে।
৩ বছর আগে
ডা. মঈনের সন্তানরা কি জানে তাদের বাবা ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’ হিসেবে মারা গেছেন?
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তার আজ চার দিন হলো। কিন্তু তার সন্তানরা এখনও জানে না তাদের বাবা করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাচাঁনোর যুদ্ধে এক ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’ হিসেবে মারা গেছেন।
৪ বছর আগে