কক্সবাজারে নতুন যোগ দেয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, প্রথমে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, এরপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৩০৯ জন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের একযোগে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল মিলে ১৩০৯ জনের বদলির আদেশ এসেছে। পুলিশ সদর দপ্তর এবং পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের সূত্র মতে, শুক্রবার পর্যন্ত এই বদলির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৪৭ জনে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ শীর্ষ ৮ কর্মকর্তা, ৮ থানার ওসিসহ ৩৪ পরিদর্শক, ১৫৮ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৯২ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), ১০৫৫ জন নায়েক ও কনস্টেবল। সবাইকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের বাইরে ভিন্ন রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বদলি হওয়া শূন্য পদ পূরণে শুক্রবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন ৮ থানার ওসিসহ ৩৭ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৮৫ জন এসআই-এএসআই ও ৭৩৪ জন কনস্টেবল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সম্পূর্ণ নতুন জনবল যোগদান করবে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়। আর ঝিনাইদহের এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্ব দেয়া হয়। নবাগত এসপি বুধবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার এসপি মাসুদ হোসেন কক্সবাজার থেকে বিদায় নেন। পরে ২১ সেপ্টেম্বর বদলি করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারসহ অপর ৭ শীর্ষ কর্মকর্তাকে। আর ২৪ সেপ্টেম্বর ৮ থানার ওসিসহ ৩০ পরিদর্শককে বদলি করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর একযোগে ১০৫৫ কনস্টেবলসহ ১৩০৯ জনের বদলির আদেশ আসে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেয় পুলিশ সদর দপ্তর। ওই ঘটনায় মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ারের দায়ের করা হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য জেলহাজতে রয়েছেন।