তার বাড়ি ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেতেগা গ্রামে।
গত ১০ এপ্রিল তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পর পর দুটি নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় শনিবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৯ এপ্রিল আব্দুর রশীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইপিএইচ-এ পাঠানো হয়েছিল। ১০ এপ্রিল পাওয়া রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাকে প্রথমে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ১২ এপ্রিল সেখান থেকে স্থানান্তর করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে ১৬ এপ্রিল থেকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি।
দিন দিন আব্দুর রশীদের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তার নমুনা আবার পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পর পর দুটি নমুনা পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় শনিবার তাকেহাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কোভিড-১৯ পজেটিভ আরও ৬জন রোগীর পুনরায় পরীক্ষায় প্রথমবার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় শনিবার তাদের নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৮জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৯৯৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।