জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৬টি এবং পরীক্ষা শেষে ফলাফল পাওয়া গেছে ১৫ হাজার ৮৪৪টি।
সূত্র জানায়, জেলায় প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হয় গড়ে ৫৫০-৬০০টি। কিন্তু সরকারি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি আরটিপিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৬০-৩৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে প্রতিদিন পরীক্ষার জন্য জমা হচ্ছে আরও ২৫০-৩০০টি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কয়েকদিন পর পর ঢাকায় ৫০০ করে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফলে প্রতিদিনই নমুনা পরীক্ষায় জট বাড়ছে।
নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে কারো কারো ১৫দিন সময়ও লেগে যাচ্ছে। এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ল্যাব দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, বুধবার বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে টিএমএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাব হোসেন (৬১) নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে।
মৃত আলতাব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া এলাকার বাসিন্দা।
ওই হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রুবেল জানান, ওই ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ জুন রাতে ভর্তি হন। এরপর দিন তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে।
জেলায় এ নিয়ে করোনায় সরকারি হিসেবে ৫৩ জন মারা গেলন।
আক্রান্ত তিন হাজার ছুঁই ছুঁই
গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৯ জন।
বুধবার বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৬৯ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪৩ জন, নারী ১৫ জন ও তিনটি শিশু। আর ২৪ ঘণ্টায় ২৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জনের।