জেলায় এ পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৭ জন। মোট ১৫টি কেন্দ্রের ২৯টি বুথ থেকে টিকা দেয়া হচ্ছে।
রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নার্সিং কলেজ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম ও সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ একযোগে টিকা গ্রহণ করেন।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও কমেছে
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এর টিকা। যেসকল বিজ্ঞানী এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দেখাদেখি মানিকগঞ্জে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন করোনার টিকা নিতে।’
করোনা প্রতিরোধে সবাইকে এ ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
করোনার টিকা নেয়ার পর পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের পর আমার কোনো খারাপ লাগেনি। সুস্থ থাকতে হলে এ ভ্যাকসিন নেয়া উচিত।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ২ বার চিঠি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকা নিয়ে জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ টিকা অন্য সাধারণ টিকার মতোই। বুঝতেই পারিনি যে টিকা দিয়েছি।’
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, টিকাদানের জন্য মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ৮টি, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮টি, পুলিশ হাসপাতালে একটি এবং উপজেলাগুলোতে তিনটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, জেলায় ৪৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৮২৭ জন অ্যাপসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনের কাজ চলছে।