করোনা টিকা
৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রমে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে ছেলে মেয়েরা প্রায় সমান সমান হলেও বুস্টার ডোজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অনেক মেয়ে বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে টিকা যখন দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধদের আগে টিকা দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি।সবশেষে এখন শিশুদের টিকা হাতে পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় চার কোটি ৪০ লাখ টিকা লাগবে। আমরা ইতোমধ্যেই ৩০ লাখের মতো টিকা হাতে পেয়েছি। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দিবে বলে নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
২ বছর আগে
মঙ্গলবার খুলনায় ১১ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার আলোকে করোনার চতুর্থ ঢেউ প্রতিরোধে সারাদেশে বুস্টার ডোজ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫শ’জনকে টিকা দেয়া হবে। এবার সবাই ফাইজারের টিকা পাবেন বলে জানা গেছে।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু রবিবার
সূত্র মতে, ১০ জেলা হাসপাতালে প্রত্যেকটিতে ৬ বুথে পাঁচশ’জন করে এই টিকা দেয়া হবে। খুলনা ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রত্যেকটির ছয়টি বুথে ৫০০ জন করে, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ৩১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ২ বুথে, ৫০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয়টি বুথে ৫০০ জন করে এবং ৫৭০ ইউনিয়নে, ৯টি করে ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৫০০ জন করে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, সোমবার সকালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টিকা পৌঁছে যাবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা টিকা দান কর্মসূচিতে সহায়তা করবেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
এ বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় এখনও টিকা পৌঁছায়নি। সোমবার নাগাদ পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত,এ পর্যন্ত বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ২৫৪ জনের মৃত্যু এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
২ বছর আগে
৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাও করোনার টিকা নিতে পারবে: এফডিএ
মার্কিন শিশু, ছোট বাচ্চা এবং প্রাক-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকার প্রথম ডোজ অনুমোদনে বুধবার এক ধাপ এগিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) ভ্যাকসিন উপদেষ্টারা ছোট বাচ্চাদের জন্য মডার্না ও ফাইজার টিকার অনুমোদন দিয়েছেন।
সংস্থার বাইরের বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতিক্রমে ভোটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকাতে যে ঝুঁকি তার চেয়ে বেশি ঝুঁকি করোনা ভাইরাসে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বাবা-মা তাদের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সকল রকমের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সামনের সপ্তাহ থেকে এই টিকা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকর
মিসৌরির কানসাস সিটির চিলড্রেনস হাসপাতালের প্যানেলের সদস্য ডা. জে পোর্টনয় বলেন, ‘এটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন।’
তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক এই ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে আছেন এবং আমি মনে করি আমরা তাদের কাছে ঋণী যাদের মধ্যে টিকার চাহিদা রয়েছে।’
এফডিএ’র ভ্যাকসিন প্রধান ডা. পিটার মার্কস বুধবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের উদ্বোধন করে করোনা আক্রান্ত শিশুদের তথ্য তুলে ধরেন। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, ওমিক্রন চলাকালীন সময় বেশ উদ্বেগজনক হারে অল্পবয়সী শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এবং সে সময় চার বছরের কম বয়সী ৪৪২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর চেয়ে অনেক কম, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সবচেয়ে ছোট বাচ্চাদের টিকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা হয়েছে।
মার্কস বলেছেন, মূলত হারিয়ে যাওয়া প্রতিটি শিশুর পরিবার ভেঙে পড়েছে।
টিকা অনুমোদন বিষয়ে বেশ কিছু প্যানেল সদস্য জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে ছোট বাচ্চাদের গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা ন্যূনতম।
আরও পড়ুন: শিশুদের ওপর করোনার টিকা প্রয়োগের পরীক্ষা চালাবে অক্সফোর্ড
টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ডা. কোডি মেইসনার বলেছেন, টিকাকরণের ঝুঁকি খুব কম, কিন্তু সবচেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য করোনার ঝুঁকিও রয়েছে।
এফডিএ পর্যালোচকরা বলেছেন, বৈঠকের বিশ্লেষণে সমস্ত ব্র্যান্ডই ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর বলে মনে হচ্ছে।
২ বছর আগে
বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে জনগণকে টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটি সঠিক নয়। বরং আমরা সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই তথ্য দিয়ে থাকলেও তা সঠিক নয়।’
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি প্রতিবেদন বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন যে গ্রহন করিনি সেটিই বললাম। আমরা অবশ্যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেলের সম্মানে অবস্থান করছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ব্যবসায় অনেক উন্নয়ন করেছি। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রথম ডোজ প্রায় ১৩ কোটি, সেকেন্ড ডোজ ১১ কোটি ৬০ লাখ ও বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ ও বুস্টার ডোজ ৯ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, টিআইবি বলে ল্যাব সংখ্যা খুব কম। একটা ল্যাব ছিল, সেখানে থেকে ৮৭০টি বিভিন্ন পর্যায়ে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে টেস্ট করিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরে ৩০ শতাংশ টেস্ট করেছে। বাকি ৭০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে টেস্ট হয়েছে। এখন পাঁচ হাজার টেস্টে হয়, কখনো ৫০ হাজারও করেছি। তখন তো চাপ বেশি পড়ে, তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারার কথা না। চিকিংসা ভালো দিতে পারিনি বলা হয়েছে, আমাদের নাকি বেড ছিল না। তারা আট মাসের সার্ভের কথা বলেছে, কিন্তু কোভিড তো দুই বছর ধরে। বেডের কোন ঘাটতি ছিল না।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আইসিইউতে কিছুটা সংকট ছিল, কিন্তু আমরা করোনার মধ্যে সেটি করেছি। ভ্যান্টিলেটর ইজ নট সলিউশন, ভ্যান্টিলেটর খালিই ছিল। বাংলাদেশের এমন কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে অক্সিজেন ছিল না। এটি সঠিক নয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সেটা হলে তো দেড় লাখ মানুষ মারা গেছে। কিন্তু এতো মানুষ তো মারা যায়নি। ওষুধ পায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওষুধ এভেইলেবল ছিল কোন অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের চিকিৎসা প্রাইভেটেও যা, সরকারিতেও তা। তারা তো আমাদের গাইডলাইনেই চিকিৎসা করেছে। দেশের সুনামের দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক চিকিৎসক, নার্স মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিনেশনে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
২ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৪৮ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪৮ কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ কোটি ৫১ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৩৪৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ১৯ হাজার ১২৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৮ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯৮২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৭০ জনে।
এদিকে, ব্রাজিলে এই পর্যন্ত দুই কোটি ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ছয় লাখ ৫৯ হাজার ৫০৮ জন।
পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২০ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৪৩২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
পড়ুন: করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৯
২ বছর আগে
পাঁচ বছর বয়সীদের করোনার টিকা শিগগিরই
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছি।সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই আমরা কার্যক্রম শুরু করে দিব। আমরা ১২ বছরের উর্ধ্বে যারা আছে, সেসব শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। এবার আমরা ১২ বছরের নিচে এবং পাঁচ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের টিকা দিব। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তারা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের তালিকা হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখছি।
এসময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টিকাদানের সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এটা নির্ভর করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত। সেটি নিয়ে এখনি আমরা কিছু বলতে পারছি না।এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে বয়স ভিত্তিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবং টিকা কেন্দ্রের তথ্য প্রেরণে বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।গণটিকায় প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ ২৮ মার্চকরোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতেই দেশব্যাপী 'একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান' কার্যক্রমে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ মার্চ থেকে। তিনদিন ব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।তিনি বলেন, আগামী ২৮ মার্চ থেকে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা যে কোন কেন্দ্রে এসেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন। এই কার্যক্রমে দুই কোটি ২৫ লাখ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ থেকে ধরে ৯ দিনে তিন কোটির বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত ২২ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা ক্রয় এবং দেয়ার পেছনে খরচ হয়েছে। কিছু টিকা আমাদের বাড়তি আছে। এসব টিকা বিভিন্ন দেশকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিব।
২ বছর আগে
করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক টিকা কর্মসূচি চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সবাইকে আহ্বান করবো টিকা নেয়ার। সবাইকেই টিকা দিবো। এরপর থেকে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। তবে সাময়িকভাবে প্রথম ডোজে একটু দৃষ্টিপাত কম থাকলেও কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশেষ এই টিকা কর্মসূচিতে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে দেড় কোটি ডোজ দিব। দশ কোটি ডোজ টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা এর আগেও ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ এই কর্মসূচির বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাস, ট্রাক, দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই সফল হবো।
টিকায় রাশিয়া-তুরস্কের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে রাশিয়া-তুরস্কের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রশংসা করে আমাদের জানিয়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে বাংলাদেশ ১০ম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। সেখানে জার্মানিতে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, রাশিয়ায় ১৬ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, তুরস্ক ১৪ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, থাইল্যান্ড ১২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র তিন কোটি ডোজ দিয়েছে। সেদিক থেকে আমরা টিকায় অনেক এগিয়ে আছি।
তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টার্গেট করা মানুষের শতকরা ৮৬ ভাগ প্রথম ডোজ, ৬৫ ভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করছি এবং সফলতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্ব নেতার আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে৷
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমরা ওইদিন একদিনেই এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্ড কমিটি, জেলা ও সিটি কমিটির সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা যখন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে টিকা নিবে, সেটি তার কর্মঘন্টার মধ্যেই যুক্ত হবে। এ নিয়ে আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ আরও অনেকে।
২ বছর আগে
টিকা দিতে যাওয়ার সময় দুরন্তপনায় প্রাণ হারালো স্কুলছাত্র
করোনার টিকা দেয়া হলো না স্কুলছাত্র হুমায়ুন কবিরের (১৪)। টিকা দিতে যাওয়ার সময়ই দুরন্তপনার জন্য প্রাণ হারাতে হলো তাকে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলারের ট্রলির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শালটি মুরাদপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন কবির (১৪) উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম প্রধানের ছেলে এবং উপজেলার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
নবাবগঞ্জ থানায় মিডিয়া অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) বিভূতিভূষণ ব্রতি রায় জানান, ছয় সাতজন সহপাঠিসহ ইজিবাইকে চড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে যাচ্ছিল ছাত্র হুমায়ুন কবির। দুরন্তপনা দেখাতে চলন্ত ইজিবাইকে লাফ দিয়ে নেমে আবার লাফ দিয়ে উঠছিল সে। এভাবে উঠানামার এক পর্যায়ে পেছন থেকে ছুটে আসা বালু বহনকারী একটি পাওয়ার টিলারের ট্রলির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হুমায়ুন।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
২ বছর আগে
করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
সারা দেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার টিকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সকল পর্যায়ে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।’
আরও পড়ুন: বরিশালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া শুরু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাজধানীসহ সারাদেশের সীমিত পরিসরে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। শুরুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার হিসেবে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
২ বছর আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে সোমবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নিহত ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তি সিডনির বাসিন্দা। তিনি করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তবে তার স্বাস্থ্যগত অনেক জটিলতা ছিল।
নিউ সাউথ ওয়েলসে সোমবার ৬ হাজার ৩২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যা আগের দিনের রেকর্ড ৭০ জনের চেয়ে কম। তাদের মধ্যে ৫৫ জন ইনসেনটিভ কেয়ারেসহ মোট ৫২৪ জন হাসপাতালে রয়েছেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার সোমবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে রয়েছে বার এবং রেস্তোরাঁয় দুজনের মধ্যে প্রতি ২ বর্গ মিটারের (২২ বর্গ ফুট) দুরত্ব থাকা এবং আতিথেয়তা স্থানগুলোতে কিউআর কোড সহ ‘চেক-ইন’ বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাড হ্যাজার্ড বলেন, রাজ্য সরকার কর্মী স্বল্পতার কারণে করোনার সংস্পর্শে আসার পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
এদিকে, সোমবার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ হাজার ৯৯৯ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৮ কোটি ছুঁইছুঁই
করোনা মহামারির মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে আরেকটি বড়দিন
২ বছর আগে