সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে তিন দিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় যমুনা তীরবর্তী পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার চলনবিল এলাকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনা ও সিরাজগঞ্জের অভ্যান্তরীণ নদ-নদীর পানিও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলছেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, প্রতিবছরই এদেশে কমবেশি বন্যা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বর্তমানে বন্যা চলছে। তবে সিরাজগঞ্জে বন্যা এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে, আশঙ্কাজনক তেমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আগামী ২-৩ দিন পানি বাড়লেও আশংকার তেমন কিছু নেই, এরপর হয়তো পানি কমে যাবে।
তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হওয়ায় চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরসহ ভাঙনকবলিত স্থানে ভাঙন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে।
পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত